ঢাকা: আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালিত হয়। চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং অন্ধত্ব প্রতিরোধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে এ দিবসটি উদযাপিত হয়। ‘আপনার চোখকে ভালোবাসুন’ এ প্রতিপাদ্যে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ দিবসটি পালন করা হচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, পৃথিবীতে প্রায় ২৩০ কোটিরও বেশি মানুষ কোনো না কোনো দৃষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এর মধ্যে, অন্তত ১০০ কোটি মানুষের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস বা অন্ধত্ব প্রতিরোধযোগ্য ছিল—যদি সময়মতো চিকিৎসা ও যত্ন নেওয়া যেত। বাংলাদেশেও চোখের রোগ এখন একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিস, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন, দীর্ঘ সময় মোবাইল ও কম্পিউটার স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকা এবং নিয়মিত চোখ পরীক্ষা না করার কারণে দৃষ্টিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন অন্তত ২০ মিনিট পরপর ২০ সেকেন্ডের জন্য দূরে তাকানো, পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাবার ও নিয়মিত চোখ পরীক্ষা দৃষ্টিশক্তি রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষদের জন্য চোখের যত্ন নেওয়া অপরিহার্য, কারণ দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সামনে থাকা চোখের ক্লান্তি ও শুষ্কতার ঝুঁকি বাড়ায়।
বিশ্ব দৃষ্টি দিবস উপলক্ষে আজ ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন সংগঠন, হাসপাতাল ও এনজিওর উদ্যোগে আলোচনা সভা, ফ্রি চক্ষু পরীক্ষা এবং সচেতনতামূলক র্যালির আয়োজন করা হয়েছে।
ব্র্যাক প্রায় ১০ হাজার মানুষকে চক্ষু সেবা দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বর্তমানে দেশের ৬১টি জেলায় সক্রিয় ব্র্যাকের চক্ষু সেবা কার্যক্রম এ বছর ‘বিশ্ব দৃষ্টি দিবস’ উপলক্ষ্যে সারা দেশে ৩৫০টিরও বেশি চক্ষু শিবির এবং ৫০টিরও বেশি সচেতনতামূলক র্যালির আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার মানুষকে স্বল্পমূল্যে রিডিং গ্লাস বা পাঠের চশমা বিতরণ ও সাশ্রয়ী মূল্যে ছানি অপারেশনসহ প্রয়োজনীয় চক্ষু সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে এই কার্যক্রম চলবে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ন্যাশনাল আই কেয়ারের পাশাপাশি চক্ষু সেবায় নিয়োজিত সংস্থা আন্ধেরি হিলফি, ব্র্যাক, সিবিএম গ্লোবাল, ফ্রেড হোলোস ফাউন্ডেশন, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, সাইট সেভারস, ভিশন স্প্রিং এবং এসিলর লাকসোটিকা জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি ও বিশেষ চক্ষু সেবার আয়োজন করেছে।