ঢাকা: আজ ১০ অক্টোবর, শহিদ জেহাদ দিবস। সামরিক স্বৈরাচারের পতনে জীবন উৎসর্গ করা জেহাদের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রাজধানীর পল্টনে পুলিশের গুলিতে শহিদ হন নাজির উদ্দিন জেহাদ।
কেএম নাজির উদ্দিন জেহাদ ছিলেন নব্বইয়ের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনের একজন কর্মী। রক্তঝরা ওই আন্দোলন ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে গিয়ে পুলিশের বুলেট নিজের বুকে বরণ করে নেন জেহাদ। শাহাদাত বরণ করেন এই অকুতোভয় ছাত্রনেতা। তার রক্ত স্রোতের ধারা বেয়েই সে বছর সংঘটিত হয় গণঅভ্যুত্থান, পতন হয় স্বৈরশাসক এরশাদের।
কেএম নাজির উদ্দিন জেহাদ সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলাধীন নবগ্রাম গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
এই দিনটি স্মরণে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকালে শহিদ জেহাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পল্টন মোড়ে তার স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিএনপি, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠন।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণীতে শহিদ জেহাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “জেহাদ শহিদ হয়েছিলেন গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য। তার আত্মত্যাগ আমাদের প্রেরণার উৎস। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে জেহাদের চেতনা আজও পথ দেখায়।”
এছাড়া ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপি অঙ্গসংগঠনগুলো রাজধানীসহ সারাদেশে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করেছে।