ময়মনসিংহ: প্রেম-দ্রোহ, সাম্যের কবি কাজী নজরুল ইসলাম নিয়ে অনবদ্য লেখনী। যার ছড়া, কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ-গবেষণা, ফিচার-কলামসহ সাহিত্যের বিচিত্র পথে সৃষ্টিধারা ঊর্মিমুখর। স্বকীয় বৈশিষ্ঠ্যের অধিকারি কবি গাউসুর রহমান নিয়ে এ আলোচনা।
ময়মনসিংহ টির্চাস ট্রেনিং কলেজ মিলনায়তনে এক বর্ণাঢ্য আয়েজনে পালিত হলো আশির দশকের প্রখ্যাত কবি ও প্রাবন্ধিক গাউসুর রহমানের জন্মদিন।
গাউসুর রহমান ১৯৬৫ সালের ৮ অক্টোবর জন্মগ্রহন করেন। বাবা মো.আবদুল মান্নান ও মা হোসনে আরা বেগম। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অর্নাসসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ও আইনে স্নাতক গাউসুর রহমান র্কমজীবনে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধান ছিলেন। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির সঙ্গে জড়িত কবি, প্রাবন্ধিক-গবেষক, কলামিস্ট, কথাসাহিত্যিক হিসেবে গাউসুর রহমান স্বকীয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন। কবি হিসেবে তিনি নিজস্ব কাব্যিক অভিধান অর্জনে সচেষ্ট হন।
নতুন কণ্ঠস্বরের অধিকারী এই কবি প্রাবন্ধিক-গবেষক হিসেবে তুখোড় মেধাবী; তার বিশ্লেষণ অনবদ্য। নজরুল, জসীমউদ্দীন, ফররুখ আহমদ, শামসুর রাহমান সম্পর্কে তার নিজস্ব গ্রন্থ রয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম নিয়ে তার গ্রন্থের সংখ্যা চারের অধিক। রবীন্দ্রনাথ ও জীবনানন্দকে নিয়েও রয়েছে দুটি গ্রন্থ।
গাউসুর রহমানের প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা বিশ। তার উল্লেখযোগ্য দুটি গ্রন্থ হলো—‘জাতিসত্তার কবি : মুহম্মদ নূরুল হুদা’ ও ‘কবিতার শামসুর রাহমান’।
অধ্যাপনায় নিয়োজিত গাউসুর রহমান বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ এমএ, পরবর্তী সময়ে তিনি এলএলবি ডিগ্রিও অর্জন করেছেন। স্ত্রী কামরুন নাহার ও ছেলে সুহৃদ রহমানকে নিয়ে ময়মনসিংহ শহরেই বসবাস করেন তিনি।
সদালাপি-হৃদ্ধজন-আড্ডাপ্রিয় এই মানুষটি সকলের কাছে বেশ প্রিয়। এখনো বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তার সুনিপুণ লেখনী অনেকের নজর কাড়ে। এখনো অনেকে তার বিভিন্ন গবেষণালব্ধ লেখায় উচ্চাসীনে নিজেকে গড়েন। ভাষা বৈচিত্রে অসাধারণ মেলবন্ধনে গাউসুর রহমান এক অনন্য নাম।
এই গাউসুর রহমানের জন্মদিনের আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খন্দকার মোহাম্মদ আশরাফুল মুনিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আনিছা পারভীন,ময়মনসিংহ সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. জয়নাল আবেদীন খান।
এ সময় কবি গাউসুর রহমান আপ্লুত-উদ্বেলিত কন্ঠে নিজেও তার অনুভূতি প্রকাশ করেন। জন্মদিনের আয়োজনে কবি আসাদ উল্লাহ’র সভাপতিত্বে স্বর্ণা চাকলাদার ও জুবায়েদ ইবনে সাঈদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন কবি শামসুল ফয়েজ, কবি সোহরাব পাশা, প্রফেসর আলী ইদ্রিস, প্রফেসর মঈন হুদা, ছড়াকার ও গবেষক স্বপন ধর।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই কবি স্বাধীন চৌধুরী গাউসুর রহমানের বিভিন্ন সংকলন সংগ্রহ নিয়ে স্বাগত বক্তব্য দেন।