Saturday 11 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১২ কেজি এলপিজি’র দাম ১ হাজার টাকার নিচে হওয়া উচিত: জ্বালানি উপদেষ্টা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:১৮ | আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৩৪

-ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: দেশে গ্যাস সংকটের জন্য একশ্রেণির রাজনীতিবিদ ও তাদের সহযোগী ব্যবসায়ীরা দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, গ্যাস খাতের সঙ্কট একদিনে বা আপনা-আপনি হয়নি। এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ এবং তাদের সহযোগী ব্যবসায়ীরা আজ এই সঙ্কট নিয়ে এসেছে। গ্যাস না থাকার কথা জেনেও দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় সংযোগ দেওয়ার কারণেই এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর ১২ কেজি এলপিজি’র দাম ১ হাজার টাকার নিচে হওয়া উচিত।

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি, পরিবেশ ও নিরাপত্তা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অপ্রয়োজনীয় সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু সেই সক্ষমতা পূরণে প্রয়োজনীয় গ্যাস সংগ্রহের কথা ভাবা হয়নি। বিদ্যুতের সরবরাহ এক জায়গা থেকে বন্ধ করে আরেক জায়গায় দেওয়া গেলেও গ্যাসের ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। এখানে ‘ফার্স্ট কাম, ফার্স্ট সার্ভড’ (আগে এলে আগে পাবেন) ভিত্তিতে সেবা দেওয়া হয়। এমতাবস্থায় গ্যাস সঙ্কট থেকে উত্তরণে দুই উপায়ে চেষ্টা চলছে। একদিকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়িয়ে সরবরাহ ঠিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে, অন্যদিকে স্থলভাগে বাপেক্সের মাধ্যমে অনুসন্ধান কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। যেখানে প্রতিবছর প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস কমে যাচ্ছে, সেখানে আমরা নতুন করে মাত্র ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পেয়েছি। তবে আমরা আশাবাদী যে আরও গ্যাস পাওয়া যাবে, বিশেষ করে ভোলায়।

প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, গ্যাসের চাহিদা পূরণে আমাদের বাধ্য হয়ে এলএনজি আমদানি বাড়াতে হচ্ছে। তা না হলে শিল্প-কারখানা, রফতানি- সবকিছু থেমে যাবে। গত বছর ১০৮টি কার্গো এলএনজি আনা হয়েছে। দেশের সক্ষমতা বিবেচনায় সর্বোচ্চ ১১৫ কার্গো আনা সম্ভব।

এ ক্ষেত্রে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) একটি বড় সমাধান হতে পারে উল্লেখ করে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এলপিজি আমদানি তুলনামূলক সহজ। কিন্তু এর দাম একটি বড় সমস্যা। দাম কমাতে হবে। এটি বেসরকারি খাতনির্ভর হলেও দাম অনেক বেশি। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম এখনো ১ হাজার ২০০ টাকার বেশি, যা কখনো কখনো ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকাও হয়ে যায়। ফলে শিল্প ও গৃহস্থালি ব্যবহারকারীরা যথাযথ সুবিধা পাচ্ছেন না। অথচ এর দাম ১ হাজার টাকার নিচে হওয়া উচিত।

নির্ধারিত দাম না মানার বিষয়টি তদারকিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং শিল্পক্ষেত্রেও এলপিজির ব্যবহার বাড়াতে খরচ কমানোর ওপর জোর দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসআর

'বাংলাদেশে এলপিজি: অর্থনীতি-পরিবেশ ও নিরাপত্তা' শীর্ষক সেমিনার জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর