ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথায় সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন শ্রমিক লীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন মো. রফিকুল ইসলাম নামে এক স্থানীয় নেতা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের মেম্বার গট্টি গ্রামে নিজ বাড়ির সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
রফিকুল ইসলাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং উপজেলা শ্রমিক লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত রহমান মেম্বারের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতি করেছি। উপজেলা বিএনপির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছি। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে আমি কোনোদিন যুক্ত ছিলাম না। কে বা কারা আমাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে রেখেছে, আমি জানি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজ থেকে জাতীয় শ্রমিক লীগ সালথা উপজেলা শাখার সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব সাংগঠনিক পদ থেকে পদত্যাগ করছি। প্রয়াত কে এম ওবায়দুর রহমানের নেতৃত্বে রাজনীতি করেছি এবং এখনও বিএনপির কর্মী হিসেবে আছি, ভবিষ্যতেও থাকব।’
রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার নাম ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের কমিটিতে পদ দিয়ে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমি কখনো আওয়ামী লীগ করিনি। বরং আওয়ামী লীগের চাপে বহু হামলা-মামলার শিকার হয়েছি, মিথ্যা মামলায় জেল খেটেছি। আমার নাম যদি কোনো আওয়ামী লীগের কমিটিতে থাকে, আজ থেকেই তা প্রত্যাহার করলাম।’
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় বিএনপি কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউনুছ শেখ, মো. ইছাক মাতুব্বর, ইলিয়াস মাতুব্বর, বকুল মাতুব্বর, গোপাল চন্দ্র মালো, বেলায়েত খাঁ ও সেলিম তালুকদার প্রমুখ।