ফরিদপুর: ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ওয়াদুদ মাতুবব্বর এবং তার স্ত্রী রুমা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশন ফরিদপুরের উপ-পরিচালক রতন কুমার দাশ বাদী হয়ে আলাদা দুটি মামলা দায়ের করেন।
ওয়াদুদ মাতুব্বর (৪৮) ফরিদপুরের সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ওই উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের কাকিয়ার গট্টি গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। ২০১৮ সালে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান। ২০২৪ সালে সারাদেশে জনপ্রতিনিধি অপসারণের সময় তিনি অপসারিত হন।
এছাড়া তার স্ত্রী রুমা আক্তার (৪০) সালথা উপজেলার সিংহপ্রতাপ গ্রামের এমামুল হোসেনের তারার মেয়ে। স্বামী ওয়াদুদ উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স করে তার নামে অর্থ সম্পদ করেন বলে এলাকায় চাউর রয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ওয়াদুদ মাতুব্বরের ও স্ত্রী রুমা আক্তারের দাখিলকৃত আয়কর রির্টানে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের দখলে অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ ও ভোগদখলে রাখার অভিযোগে ২০০৪ সালের ২৬(২) এবং ২৭ (১) ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং যথাক্রমে ০৮ ও ০৯।
অভিযোগে বলা হয়েছে,ওয়াদুদ ২৭ লাখ ৬১ হাজার ৯৮৪ টাকার আয়কর রির্টান দাখিল করেছেন কিন্তু অনুসন্ধানে তার ৮৬ লাখ ৪৯ হাজার ৬৩১ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। এখানে তিনি ৫৫ লাখ ২৯ হাজার ৪৬৪ টাকার সম্পদ অসৎ উদ্দেশ্যে গোপন করেন।
তার স্ত্রী রুমা আক্তার তার আয়কর বিবরণীতে ৬৭ লাখ ১২ হাজার ৮৫৬ টাকা দাখিল করেন। প্রাথমিক অনুসন্ধানে তার ১ কোটি ৪১ লাখ ৫৪ হাজার ৭৫৪ টাকা সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এখানে তিনি ৭৪ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৮ মূল্যের সম্পদ অবৈধ অর্জন ও ভোগদখলে রাখার অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমানিত হয়েছে।
মামলার নথিতে ওয়াদুদ মাতুব্বরের সময়কাল ২০ মার্চ, ২০০২ সাল থেকে ৮ অক্টোবর, ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেখানো হয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রী রুমা আক্তার ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৫ সাল থেকে ৮ অক্টোবর, ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এই সম্পদ অর্জন করেছেন।