Tuesday 14 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩৫ বছর পর চাকসু নির্বাচন
শিবির-ছাত্রদলের মূল লড়াইয়ে ঢুকতে চায় বামেরাও

রমেন দাশগুপ্ত স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ অক্টোবর ২০২৫ ২৩:১৪ | আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ০০:৫৯

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (চাকসু)। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ৩৫ বছর আগে সর্বশেষ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) নির্বাচন হয়েছিল। তখন সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে জয় পেয়েছিল জাতীয় ছাত্রলীগ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রার্থী। জাতীয় ছাত্রলীগ পরবর্তীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে বিলীন হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত সেই মূল ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন।

ছাত্রলীগবিহীন নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছে ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবির। ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ছয় দফা চাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির ভিপি-জিএস পদে জয় পেয়েছিল শুধু একবার, ১৯৮১ সালে। মূল পদে ছাত্রদল কখনও জয়ের মুখ দেখেনি। অধিকাংশ সময়ই চাকসু ছিল বামপন্থী ছাত্র ইউনিয়ন, জাসদ ছাত্রলীগের দখলে। সপ্তম চাকসু নির্বাচনকে ফিরে আসার লড়াই হিসেবে দেখছে ছাত্রশিবির। ছাত্রদল মরিয়া জয়ের স্বাদ পেতে।

বিজ্ঞাপন

এর বাইরেও আলোচনায় আছে ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্রফ্রন্টের ‘দ্রোহ পর্ষদ’ প্যানেল আর বামধারার ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’। শিবির-ছাত্রদলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মাঝে উঁকি দিচ্ছেন এই দুই প্যানেলের প্রার্থীরাও। সব মিলিয়ে চতুর্মুখী লড়াইয়ের আভাস মিলেছে ১৮ দিনের প্রচার-প্রচারণা আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের আলোচনায়।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) চাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিচ্ছে মোট ১৩টি প্যানেল। ভিপি-জিএস-এজিএস পদে অংশ নিচ্ছেন মোট ৬৯ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে ছাত্রদল থেকে সাজ্জাদ হোসেন হৃদয়, শাফায়াত ও আইয়ুবুর রহমান তৌফিক, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল থেকে ইব্রাহিম হোসেন রনি, সাঈদ বিন হাবিব ও সাজ্জাদ হোসাইন মুন্না, ছাত্র ইউনিয়ন-ছাত্রফ্রন্টের ‘দ্রোহ পর্ষদ’ থেকে ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ, ইফাজ উদ্দিন আহমেদ ও জোনায়েদ কবির শায়র এবং বামধারার বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেল থেকে ধ্রুব বড়ুয়া, সুদর্শন চাকমা ও জশদ জাকির প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন।

অন্যান্যের মধ্যে ছাত্র ফেডারেশন সমর্থিত ‘বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল থেকে আবির বিন জাবেদ, চৌধুরী তাসনিম জাহান শ্রাবণ ও পলাশ দে, বৈষম্যবিরোধী সাবেক সমন্বয়কদের প্যানেল ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ থেকে মাহফুজুর রহমান, রশিদ দিনার ও জান্নাতুল ফেরদৌস, ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ইসলামী ছাত্র মজলিসের ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ থেকে তামজিদ উদ্দিন, সাকিব মাহমুদ রুমি ও রোমান রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ থেকে আব্দুর রহমান রবিন, মোহাম্মদ আব্দুর রহমান ও আমিনুল ইসলাম রাকিব, রাজনৈতিক-অরাজনৈতিক ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ’ থেকে সাইদ মো. রেদওয়ান, জিহাদ আরাফাত ও আবদুল্লাহ আল মামুন, অরাজনৈতিক ‘সার্বভৌম শিক্ষার্থী ঐক্য’ থেকে তাওসিফ মুত্তাকি চৌধুরী, মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসাইন ও সাঈদ মোহাম্মদ মুশফিক হাসান, সুফিপন্থী ‘অহিংস শিক্ষার্থী ঐক্য’ থেকে ফরহাদুল ইসলাম, ইয়াসিন উদ্দিন সাকিব ও শহীদুল ইসলাম শাহেদ, বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবী স্টুডেন্ট ফ্রন্টের ‘রেভ্যুলেশন ফর স্টেট অব হিউম্যানিটি’ থেকে কেফায়েত উল্লাহ, শাহরিয়ার উল্লাহ ও জোনায়েদ শিবলী যথাক্রমে ভিপি-জিএস-এজিএস পদে প্রার্থী হয়েছেন।

এছাড়া ‘ভয়েস অব সিইউ’ নামে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থীদের একটি প্যানেল থেকে দফতর সম্পাদক, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক এবং মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।

এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৮টি পদের মধ্যে ভিপি-জিএসসহ ২৩টি পদে জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ নির্বাচনেই বাজিমাত করে ছাত্রশিবির। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (জাকসু) নির্বাচন হয়। সেখানেও জিএসসহ ১৯টি সম্পাদকীয় পদের মধ্যে ১৫টিতে জয় পায় ছাত্রসংগঠনটি।

দুই বিশ্ববিদ্যালয় সংসদে জয়ের ধারায় চাকসু নির্বাচনেও শিবির বাজিমাত করবে, এমনই দৃঢ়বিশ্বাস সংগঠনটির নেতাকর্মীদের। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী সারাবাংলাকে বলেন, ‘ডাকসুতে ইসলামী ছাত্রশিবির বিশাল জয় পেয়েছে। জাহাঙ্গীরনগরেও আমাদের অধিকাংশ প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থা রাখছেন। এতে আমাদের নেতাকর্মীরা উজ্জীবীত হয়েছেন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের শাসনামলে ১৬ বছর আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো কার্যক্রম চালাতে পারিনি। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আমাদের ভূমিকা এবং আওয়ামী লীগের পতনের গত একবছর ধরে আমরা ক্যাম্পাসে যেসব ইতিবাচক, শিক্ষা ও শিক্ষার্থীবান্ধব কর্মকাণ্ড করেছি, তাতে শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপরই আস্থা রাখবেন, এতে সন্দেহ নেই।’

অন্যদিকে চাকসুতে কখনো মূল পদে জয় না পেলেও এবং আওয়ামী লীগের শাসনামলে ‘ক্যাম্পাসছাড়া’ থাকলেও এবারের নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছাত্রদল। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফল না পেলেও চাকসু নির্বাচন দিয়ে জয়ের ধারায় ফিরতে চায় ছাত্রদল।

ছাত্রদল প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের সংগঠন। অধিকারের প্রশ্নে ছাত্রদল সবসময় আপসহীন। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্যই রাজনীতি করি। তাদের চাওয়াকে প্রাধান্য দিয়েই আমরা ইশতেহার তৈরি করেছি। প্রায় প্রত্যেক ভোটারের কাছে গিয়ে তাদের হাতে আমরা ইশতেহারের লিফলেট পৌঁছাতে পেরেছি। শিক্ষার্থীরা এখন অনেক সচেতন। তারা যোগ্য প্রার্থী খুঁজেই ভোট দেবেন। আমরা শিক্ষার্থীদের যথেষ্ঠ সাড়া পেয়েছি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমরা জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।’

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে একবার চাকসু’র ভিপি পদে ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী আর ১৯৯০ সালের নির্বাচনে জিএস পদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের প্রার্থী একবার জয় পেয়েছিল। তাদের সম্মিলিত প্যানেল ‘দ্রোহ পর্ষদ’ স্বৈরাচার, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছে।

দ্রোহ পর্ষদের জিএস প্রার্থী ইফাজ উদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসে স্বৈরাচারী-কর্তৃত্ববাদী নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে চাই। ছাত্র রাজনীতির নামে ক্যাম্পাসে পেশীশক্তি, গুণ্ডাতন্ত্র আর অস্ত্রের মহড়ার অবসান চাই। ধর্মের নামে বিভেদ, বৈষম্য তৈরির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেন তার ব্যক্তিগত পছন্দকে অগ্রাধিকার দিয়ে, নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে, স্বচ্ছন্দে, নিরাপদে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে পারে, সেটা নিশ্চিতের জন্য আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। আশা করি, শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর আস্থা রাখবেন।’

বৈচিত্র্যের ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, লিঙ্গ, বর্ণসহ নানা মতের সম্মিলনে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। অংশীদারত্বমূলক, অধিকারভিত্তিক, গণমুখী, আধিপত্যবিরোধী, নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের ইশতেহার আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে তুলে ধরেছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের রায় আমাদের পক্ষে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।’

চাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনে এবার মোট ভোটার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৭ হাজার ৫২১ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ১৬ হাজার ৮৪ জন ও ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩২৯ জন। অর্থাৎ মোট ভোটারের ৪০ শতাংশই ছাত্রী। তারাই ভোটে জয়-পরাজয়ের নির্ধারক হবেন- এমন ধারণা নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারীদের।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে দৈনিক আমাদের সময়ের ব্যুরো প্রধান হামিদ উল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র তিন হাজারের কিছু বেশি ছাত্রী হলে থাকার সুযোগ পান। এর বাইরে প্রায় ৮-৯ হাজার ছাত্রী ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন। তাদের বড় অংশ যদি ভোট দিতে যান, তাহলে ছাত্রীরাই হবেন জয়-পরাজয়ের নির্ধারক। আমাদের সমাজে সাধারণত নারীদের মধ্যে, আরও সুনির্দিষ্টভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের মধ্যে এক ধরনের চিন্তার ঐক্য থাকে। কারা নির্বাচিত হলে ক্যাম্পাসটা তাদের জন্য নিরাপদ থাকবে, তারা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারবেন কী-না, সেই বিবেচনা তাদের নিশ্চয় থাকবে।’

১৯৬৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭০ সালে প্রথম ছাত্র সংসদের নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে ভিপি নির্বাচিত হন ছাত্রলীগের মোহাম্মদ ইব্রাহিম এবং জিএস হন ছাত্রলীগের আবদুর রব। ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াতে তৎকালীন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন চাকসু জিএস আবদুর রব।

১৯৭২ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় চাকসু নির্বাচনে ছাত্র ইউনিয়নের শামসুজ্জামান হীরা ভিপি এবং জাসদ ছাত্রলীগের মাহমুদুর রহমান মান্না জিএস নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালের তৃতীয় চাকসু নির্বাচনে জাসদ ছাত্রলীগের এস এম ফজলুল হক ভিপি ও গোলাম জিলানী চৌধুরী জিএস নির্বাচিত হন।

১৯৭৯ সালের চতুর্থ চাকসু নির্বাচনে ভিপি হন জাসদ ছাত্রলীগের মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী এবং জিএস হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত ছাত্রলীগের জমির চৌধুরী। ১৯৮১ সালে চাকসুর পঞ্চম নির্বাচনে ভিপি ও জিএস পদে নির্বাচিত হন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেসময়ের নেতা জসিম উদ্দিন সরকার ও আবদুল গাফফার।

১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ চাকসু নির্বাচনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের প্রার্থী জাতীয় ছাত্রলীগের নাজিম উদ্দিন ভিপি নির্বাচিত হন। আর জিএস নির্বাচিত হন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আজিম উদ্দিন আহমদ।

কিন্তু সর্বশেষ ওই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতা ফারুকুজ্জামান নিহত হলে চাকসুর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ৩৫ বছরে আর চাকসু নির্বাচন হয়নি।

বিজ্ঞাপন

আরো

রমেন দাশগুপ্ত - আরো পড়ুন
সম্পর্কিত খবর