দুই দলের শক্তিমত্তার ব্যবধান যোজন যোজন। আর্জেন্টিনা-পুয়ের্তো রিকোর ম্যাচের ফলাফল কেমন হতে পারে, সে নিয়ে অবশ্য খুব একটা মাথাব্যথা ছিল না কারোরই। যুক্তরাষ্ট্রের চেজ স্টেডিয়ামে কোটি আর্জেন্টাইন সমর্থক তাকিয়ে ছিল শুধু একজনের দিকেই। আর্জেন্টিনার হয়ে লম্বা এক বিরতির পর মাঠে নেমেই নতুন ইতিহাস গড়লেন মেসি। তার রেকর্ডের রাতেই পুয়ের্তো রিকোকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ফিফা র্যাংকিংয়ের ৩য় অবস্থানে থাকা আর্জেন্টিনা মুখোমুখি হয়েছিল ১৫৫ নম্বরে থাকা পুয়ের্তো রিকোর। চেজ স্টেডিয়ামে ম্যাচের পুরোটা জুড়েই দাপট ছিল আর্জেন্টিনারই।
১৪ মিনিটে ম্যাক অ্যালিস্টারের গোল দিয়ে শুরু। এরপর গুণে গুণে প্রতিপক্ষের জালে আরও ৫ বার বল জড়িয়েছে আর্জেন্টিনা। জোড়া গোল পেয়েছেন ম্যাক অ্যালিস্টার ও লাউতারো মার্টিনেজ। একটি গোল পেয়েছেন মন্টিয়েল, একটি হয়েছে আত্মঘাতী গোল।
ম্যাচের শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন মেসি। ২৩ মিনিটে মন্টিয়েলের গোলে অ্যাসিস্ট করে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্টের রেকর্ডে নেইমারের পাশে বসেন মেসি।
আর্জেন্টিনার ষষ্ঠ গোল আসে মার্টিনেজের পা থেকে। ৮৪ তম মিনিটের সেই গোলে অ্যাসিস্ট ছিল মেসির। আর এতেই নেইমারকে টপকে নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ফুটবলে মেসির অ্যাসিস্ট সংখ্যা এখন ৬০। মেসির রেকর্ডের রাতে শেষ পর্যন্ত ৬-০ গোলের বিশাল জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল লিওনেল স্কালোনির দল।