অর্থ পাচার বেড়ে গেছে: শুল্ক ডিজি
১০ জুলাই ২০১৮ ১৪:১৫ | আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ১৬:৩২
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে বিদেশে আগের চেয়ে অর্থ পাচারের পরিমাণ বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মো. শহিদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১০ জুলাই) দুপুর ১২টায় শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে শুল্ক গোয়েন্দার ডিজি বলেন, আগের চেয়ে অর্থ পাচার বেড়ে গেছে। এ রকম অভিযোগ এখন অনেক বেশি আসছে। বিশেষ করে ক্রিসেন্ট লেদার্সসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগে তদন্ত চলছে।
তিনি জানান, ক্রিসেন্ট লেদার ১১০৪ কোটি টাকা পাচার করেছে— এমন তথ্যের ভিত্তিতে কাস্টমস ইন্টেলিজেন্স তদন্ত করছে। মাসটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ খোলা বাজারে অবৈধভাবে পণ্য বিক্রির মাধ্যমে ১২০ কোটি টাকা পাচার করেছে— এমন তথ্যের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। সেই মামলার তদন্তও এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্ত চলছে জানালেও তদন্তের স্বার্থে ওইসব প্রতিষ্ঠানের নাম জানাননি ডিজি। এছাড়া শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর ৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার হুন্ডি মামলার তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।
শহিদুল ইসলাম বলেন, গত চার মাসে চোরাচালানের মাধ্যমে বিলাসবহুল টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি আমদানির মাধ্যমে ৫ কোটি টাকার মানিলন্ডারিং এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকার অবৈধ ওষুধের চোরাচালান জব্দ করা হয়।
শুল্ক গোয়েন্দার ডিজি বলেন, ঢাকা শহরে যতগুলো বার আছে, সবগুলোতেই খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। যাদের লাইসেন্স নেই, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জিরো টলারেন্সের আওতায় আনা হবে বারগুলোকে। যেখানেই শুল্ক ফাঁকির তথ্য পাওয়া যাবে, সেখানেই অভিযান চালানো হবে।
উত্তরা ক্লাবে অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা বিভিন্ন সোর্স থেকে শুল্ক সুবিধায় আনা মদ সংগ্রহ করে থাকে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য ছিল। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই উত্তরা ক্লাবে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের সময় তারা কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারেনি।
গাড়ি জব্দের বিষয়ে ডিজি বলেন, বেশ কয়েকটি শুল্ক ফাঁকি দেওয়া গাড়ি নজরদারিতে রয়েছে। যেকোনো সময় ওইসব শুল্ক ফাঁকি দেওয়া গাড়ি পাকড়াও করা হবে। অনেকেই ভয়ে গাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। যারা শুল্ক পরিশোধ করবেন তাদের ব্যাপারে শুল্ক গোয়েন্দার কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর