ঢাকা: চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এতে দেশের ২০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পাসের হার শূন্য।
যেখানে ২০২৪ সালে ৬৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছিল। ২০২৫ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২টিতে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, মোট ৯ হাজার ১৯৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা এইচএসসিতে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে। এবার ২০২টি প্রতিষ্ঠান থেকে এইচএসসিতে অংশ নিয়ে একজনও পাশ করেনি। গত বছর কেউ পাস করেনি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল ৬৫টি। এছাড়া শতভাগ পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠান ৩৪৫টি। গত বছর এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩৩৮টি।
মোট উত্তীর্ণ হয়েছে ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। মোট পরীক্ষর্থীর মধ্যে ছাত্র অংশ নেয় ৬ লাখ ১১ হাজার ৪৪৭ জন, উত্তীর্ণ ৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬৪ জন, জিপিএ-৫ ৩২ হাজার ৫৩ জন, ছাত্রদের পাসের হার ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ। ছাত্রী অংশ নেয় ৬ লাখ ২৪ হাজার ২১৫ জন। উত্তীর্ণ ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৬ জন, জিপিএ-৫ ৬৯ হাজার ৯৭ জন, ছাত্রীদের পাসের হার ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
শিক্ষার্থীরা সকালেই নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ফল জানতে পারবেন। একইসঙ্গে শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটেও ফল পাওয়া যাবে অনলাইনে। এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ১৯ আগস্ট, আর ২১ থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। রেওয়াজ অনুযায়ী, লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হচ্ছে।