Friday 17 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিলেটে এইচএসসিতে ফল বিপর্যয়, ইংরেজি বিষয়ে ধস

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৩৫ | আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৪৫

সিলেটে শিক্ষা বোর্ড ভবন। ছবি: সংগৃহীত

সিলেট: চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে সিলেটে এবার ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। বিগত ১২ বছরের মধ্যে এবার পাসের হার সর্বনিম্ন। এবার প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সিলেটে শিক্ষা বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশের ঘোষণা করেন সিলেট বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।

ফলাফল ধসের কারণ হিসেবে বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: আনোয়ার হোসেন প্রেস বিফিংয়ে গণমাধ্যমকে জানান, ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫ বছর করোনা মহামারি, বন্যা পরিস্থিতি, ছাত্র আন্দোলনের কারণে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা হয়নি। এবার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা ও ইংরেজি বিষয়ে অকৃতকার্য বেশি হওয়ায় প্রভাব পড়েছে ফলাফলে। এ ছাড়া কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত না হওয়াও পাসের হার কম হওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ। তবে সার্বিক ফলাফল ভাল হয়েছে। কারণ এবার সারাদেশেই গড় পাশের হার কম। ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট।’

বিজ্ঞাপন

ফলাফলে দেখা যায়, এ বছর তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতভাগ পাস করেছে। এর আগের বছর শতভাগ পাসের তালিকায় ছিল আটটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবার একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা চারটি। এটি বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে এবারই প্রথম।

এ বছর সিলেটে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৬৯ হাজার ৯৪৪ জন। যেখানে ৬৯ হাজার ১৭২ জন পরীক্ষায় অংশ নেন। যার মধ্যে ছেলে ২৭ হাজার ৭৬৪ জন আর মেয়ে ৪১ হাজার ৪০৮ জন। মোট পাসকৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৫ হাজার ৮৭০ জন। যার মধ্যে ছেলে ১৩ হাজার ৮৭০ এবং মেয়ে ২২ হাজার ১ জন। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৬০২ জন যার মধ্যে ছেলে ৬৮১ এবং মেয়ে ৯২১ জন। পাসের হারে পিছিয়ে রয়েছে ছেলেরা। ছেলে পরীর্ক্ষীদের মধ্যে পাস করেছেন ৪৯ দশমিক ৯৬ জন আর মেয়েদের পাসের হার ৫৩ দশমিক ১৩ ভাগ।

ফল ‍অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬। যা বিগত ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত বছর ২০২৪ সালে পাসের হার ছিলো ৮৫ দশমিক ৩৯ ভাগ, ২০২৩ সালে ৭১ দশমিক ৬২ ভাগ, ২০২২ সালে ৮১ দশমিক ৪০ ভাগ, ২০২১ সালে ৯৪ দশমিক ৮০ ভাগ, আর ২০২০ সালে শতভাগ, ২০১৯ সালে ৬৭ দশমিক ০৫, ২০১৮ সালে ৭৩ দশমিক ৭, ২০১৭ সালে ৭২ ভাগ, ২০১৬ সালে ৬৮ দশমিক ৫৯ ভাগ, ২০১৫ সালে ৭৪ দশমিক ৫৭ আর ২০১৪ সালে ৭৯ দশমিক ১৬।

প্রাপ্ত ফল অনুযায়ী পাসের হার সবচেয়ে কম মানবিক বিভাগে। এই বিভাগে পাস করেছেন ৪৫ দশমিক ৫৯ ভাগ পরীক্ষার্থী। আর বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯৫ ভাগ এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৫০ দশমিক ১৮। ১৬০২ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্তের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭৯ জন, মানবিক বিভাগে ১৫৩ জন আর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। আর গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৬ হাজার ৬৯৮ জন। অর্থাৎ জিপিএ-৫ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বড় ধরনের ধস নেমেছে।

অপরদিকে, সিলেট বিভাগে পাসের হার সবচেয়ে কম মৌলভীবাজারে আর বেশি সিলেট জেলায়। সিলেটে পাসের হার ৬০ দশমিক ৬১ ভাগ, হবিগঞ্জে ৪৯ দশমিক ৮৮, সুনামগঞ্জে ৪৭ দশমিক ৩৫ এবং মৌলভীবাজারে ৪৫ দশমিক ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

এবারের ফলাফলে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে সর্বোচ্চ পাসের হার ঢাকায় বোর্ডে। পাসের হার ৬৪.৬২ শতাংশ। এ ছাড়া বরিশালে ৬২.৫৭ শতাংশ, রাজশাহীতে ৫৯.৪০ শতাংশ, দিনাজপুরে ৫৭.৪৯ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৫২.৫৭ শতাংশ, সিলেটে ৫১.৮৬ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৫১.৫৪ শতাংশ যশোরে ৫০.২০ শতাংশ ও কুমিল্লায় পাসের হার ৪৮.৮৬ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

বগুড়ায় নারীকে শ্বাসরোধে হত্যা
১৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:০১

আরো

সম্পর্কিত খবর