রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেছেন, ‘রাকসু কোনো দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের প্ল্যাটফর্ম নয়। অতি রাজনীতি যেন রাকসুর মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত না করে।’
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে উপাচার্য এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ ৩৫ বছর পর রাকসু প্রাণ ফিরে পেয়েছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই জিতে গেছে।’
উপাচার্য আরও বলেন, ‘যারা নির্বাচিত হয়েছে, তাদের মনে রাখতে হবে—পদ কোনো উপভোগের বিষয় নয়, এটি একটি আমানত। দলমত নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর জন্য কাজ করতে হবে।’
রাকসুর ২৩টি পদে ২০টি পদে জয় পেয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। পাশাপাশি সব হল সংসদের শীর্ষ পদেও জয়ী হয়েছে সংগঠনটির সমর্থিত প্রার্থীরা। সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনেও পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটিতেই জয় পেয়েছে একই প্যানেল।
রাকসুর ভিপি পদে শিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের শেখ নূর উদ্দীন আবীর পেয়েছেন তিন হাজার ৩৯৭ ভোট।
এদিকে, জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৭ ভোট আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট। আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক, আর ফাহিম রেজাও একই সংগঠনের সাবেক সমন্বয়ক।
এজিএস (সহ-সাধারণ সম্পাদক) পদে শিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বির নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ছয় হাজার ৯৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৫১ ভোট।