রাবি: দীর্ঘ ৩৫ পর গতকাল শেষ হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে ২৩টি পদের মধ্যে ভিপি, এজিএসসহ ২০টি পদেই জয়লাভ করেছেন ছাত্রশিবির। বাকি তিনটি পদে একজন ছাত্রদল প্যানেলের, একজন সাবেক সমন্বয়ক ও স্বতন্ত্র একজন জয়লাভ করেছে।
নর্বনির্বাচিত এসব প্রার্থীদের জন্য তৈরি করা হচ্ছে রাকসু ভবন। প্রস্তুত করা হচ্ছে ভিপি, জিএস, এজিএস সহ সকল প্রার্থীর বসার কক্ষ। রোববারের (১৯ অক্টোবর) মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, গত ৩৫ বছর রাকসু না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১৫টি সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন রাকসু ভবনের বিভিন্ন কক্ষ থেকেই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। রাকসু নির্বাচন না হওয়ার কারণে এই ভবনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি সাংবাদিকদের সংগঠন ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি’র অফিসও ছিল। তারা যে কক্ষটি ব্যবহার করছিল, সেটিই রাকসুর সহ-সভাপতির (ভিপি) কক্ষ।
রাকসু ভবন সংস্কারের দায়িত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন। তিনি জানান, রাকসু ভবনে থাকা সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলিকে আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি স্কুলের টিনশেড ভবনে জায়গা দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকেই ভবনটিতে রং করা ও সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। আগামীকালকের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। আগামী রোববার থেকে নবনির্বাচিতরা তাদের কক্ষগুলোতে বসতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ১৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত রাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে জয়লাভ করেছে ছাত্র শিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ ও এজিএস পদে নির্বাচিত হয়েছেন একই প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বির, জিএস নির্বাচিত হয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।
এবারের নির্বাচনে ২৩টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ২৪৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ১৮, জিএস পদে ১৩ এবং এজিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১৬ জন। ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিতসহ মোট ১১টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও, সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে ৫৮ জন প্রার্থী ও হল সংসদ নির্বাচনে ১৫টি পদে মোট ১৭টি হলে ৫৯৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ এবং পুরুষ ভোটার ছিল ১৭ হাজার ৫৯৬ জন।