সিলেট: আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সকালে সিলেট পুলিশ লাইনে নির্বাচনি দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আয়োজিত প্রশিক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইসি আনোয়ারুল বলেন, ‘আইনগতভাবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে। যেহেতু বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি স্থগিত দল। এই স্থগিত দল হওয়া মানে তাদের সকল কার্যক্রম স্থগিত তাই আগামী নির্বাচনে তারা অংশ গ্রহণ করতে পারবে না।’
এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আইন এবং বিধি অনুযায়ী আমাদের তালিকায় যে মার্কাগুলো রয়েছে, যে প্রতীকগুলো রয়েছে সেগুলোর মধ্যে যে প্রতীকটা চাচ্ছেন সে প্রতীকটা না থাকার কারণে নির্বাচন কমিশন দিতে পারছে না। এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। রমজানের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। আইনের কাছে দায়বদ্ধ। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, আপনাদের সবার সহযোগিতায় একটা অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন যেন হয় সে জন্য কাজ করে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।’
পিআর পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু পিআর নির্বাচন হবে কি- হবে না তা রাজনৈতিক বিষয় তাই রাজনীতিবীদরা সিদ্ধান্ত নেবেন। এই বিষয় নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
সবার সহযোগিতায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকল বাহিনী প্রস্তুত এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোন চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকবে না আশা করা যায় জানিয়ে তিনি বলেন, অতীতের মতো নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
‘নির্বাচন কমিশন এবার কারো পক্ষপাতিত্ব বরদাশত করবে না। নির্বাচন কমিশন আইনের কাছে জবাবদিহি করবে, কোনো ব্যক্তির কাছে করবে না। পাশাপাশি বিতর্কিত কেউ আগামী নির্বাচনি দায়িত্বে থাকতে পারবেন না বলেও জানান তিনি। তবে নির্বাচন পদ্ধতি একটি রাজনৈতিক বিষয় তাই এই বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি নির্বাচন কমিশনার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী এবং সিলেটের পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।