ঢাকা: দেশের পুঁজিবাজারে বেশ কিছুদিন ধরেই দরপতন ঘটেছে। টানা পতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক হতাশা তৈরি হয়েছে। তবে পরপর দুই কার্যদিবসে বড় পতন হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৭৯ শতাংশের বেশি কোম্পানির দর পতন হয়েছে।
এদিন সকালে সূচকের কিছুটা উর্ধবগতি দিয়ে শুরু হলেও দিনশেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৪ পয়েন্টে। যা গত বৃহস্পতিবার ৩ পয়েন্ট বাড়লেও বুধবার ৮১ পয়েন্ট ও মঙ্গলবার ৩০ পয়েন্ট কমেছিল।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫ ব্যাংকের একীভূতকরণ ও ৯টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবসায়নের খবরে পুঁজিবাজারে পতন চলছে। কারণ ওইসব প্রতিষ্ঠানে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কয়েক হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ থাকলেও অবসায়নের ফলে তারা কোন কিছু পাবে না। বড় বড় আর্থিক কেলেঙ্কারীর জন্য ওইসব প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ইতোমধ্যে ঋণাত্মক অবস্থানে নেমে গেছে। সবমিলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের পুঁজিবাজারে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) ডিএসই-তে ৪৪২ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে এর পরিমাণ ছিল ৪৪৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২ কোটি ১১ লাখ টাকার বা ০.৪৭ শতাংশ।
আজ ডিএসই-তে লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ৪৪টির। শতাংশের হিসেবে এর পরিমাণ ১১.১১ শতাংশ। আর দর কমেছে ৩১৪ টির বা ৭৯.২৯ শতাংশের এবং দর পরিবর্তন হয়নি ৩৮টির বা ৯.৬০ শতাংশের।
অপরদিকে সিএসই-তে রোববার ১০ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই-তে লেনদেন হওয়া ১৭৮টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৩০টির, কমেছে ১৩৩টির এবং পরিবর্তন হয়নি ১৫টির। এদিন সিএসই’র সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪২৮১ পয়েন্টে।
আগের দিন সিএসই-তে ৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ৩৪ পয়েন্ট কমেছিল।