ঢাকা: দেশের শীর্ষ উদ্ভাবকদের স্বীকৃতি দিল বাংলাদেশ আইসিটি অ্যান্ড ইনোভেশন নেটওয়ার্ক (বিন)।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির বাংলাদেশ (আইইউবি) অডিটোরিয়ামে ‘উদ্ভাবনকে স্বীকৃতি, রূপান্তরকে অনুপ্রেরণা’প্রতিপাদ্যে ‘বাংলাদেশ আইসিটি অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।
রোববার (১৯ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. এমদাদ উল বারী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হচ্ছে আত্মবিশ্বাসের অভাব। আমরা প্রায়ই নিজেদেরকে হীনভাবে দেখি ও পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে পড়ি। অথচ আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই রয়েছে অসীম সম্ভাবনা – তাদের উদ্ভাবনী শক্তিই পারে বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রযুক্তি মানচিত্রে আরও উজ্জ্বলভাবে তুলে ধরতে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করে তার প্রযুক্তিনির্ভর সমাধান বের করাই প্রকৃত উদ্ভাবনের মূল উদ্দেশ্য। একই সঙ্গে প্রযুক্তিকে এমনভাবে কাজে লাগাতে হবে, যাতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও ঘরে বসে এই ধরনের কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে ওঠে।’
বাংলাদেশ আইসিটি অ্যান্ড ইনোভেশন নেটওয়ার্ক (বিন)–এর চেয়ারম্যান সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ‘বাংলাদেশ আইসিটি অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস-এর মাধ্যমে আমরা উদ্ভাবকদের এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দিতে চাই, যেখানে তারা তাদের আইডিয়া উপস্থাপন করতে পারবে এবং জাতীয় স্বীকৃতি পাবে। এর মাধ্যমে দেশের প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ ও স্টার্টআপগুলো আরও এগিয়ে যাবে এবং বিনিয়োগ ও সহযোগিতার নতুন সুযোগ তৈরি হবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আইসিটি অ্যান্ড ইনোভেশন নেটওয়ার্ক (বিন)-এর জেনারেল সেক্রেটারি মুন এম. রাজীব বলেন, ‘বাংলাদেশ আইসিটি অ্যান্ড ইনোভেশন নেটওয়ার্ক (বিন) মূলত একটি সহযোগিতামূলক ইকোসিস্টেম তৈরি করছে, যেখানে মিড–ম্যানেজমেন্ট প্রফেশনাল, শিক্ষার্থী, তরুণ উদ্ভাবক ও সাংবাদিকরা একসাথে কাজ করছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে উদ্ভাবনকে জাতীয় উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।’
এ বছর সারাদেশ থেকে ২৫৫টি আইডিয়া প্রতিযোগিতায় প্রজেক্ট সাবমিট করে। এর মধ্য থেকে ৯০টি আইডিয়া প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। পরবর্তীতে ৯ অক্টোবর আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি–বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও ১১ অক্টোবর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এ অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত মূল্যায়ন পর্ব শেষে ৩২টি আইডিয়াকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। চ্যাম্পিয়ন ছাড়া বাকিদের উইনার ও মেরিট ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়।