ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো পরবর্তী প্রজন্মের ফাইবার রিইনফোর্সড পলিমার (এফআরপি) টাওয়ার স্থাপন করেছে শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অবকাঠামো প্রতিষ্ঠান ‘ইডটকো বাংলাদেশ’। গোপালগঞ্জে স্থাপিত এ টাওয়ারটি দেশের টেলিকম অবকাঠামো উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এবং দেশের টেলিযোগাযোগ খাতকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সংস্থার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এইচএস ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড-এর সহযোগিতায় স্থাপিত এই নতুন প্রজন্মের টাওয়ারটি প্রচলিত স্টিলের তুলনায় হালকা, টেকসই, অধিক পরিবেশবান্ধব, মজবুত ও মরিচা প্রতিরোধ ক্ষমতার পাশাপাশি সহজে স্থাপনযোগ্য এবং বিভিন্ন প্রতিকুল পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী কার্যক্ষমতা নিশ্চিত করবে। তুলনামূলক হালকা হওয়ায় স্বল্প ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যেই টাওয়ারটির পরিবহন ও স্থাপনের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। ফলে আশেপাশের এলাকায় স্বাভাবিক কাজ-কর্মে বিঘ্ন হ্রাসের পাশাপাশি দ্রুততর সময়ে সেবা চালু করা করা সম্ভব হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইডটকো বাংলাদেশ-এর কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) সুনীল আইজ্যাক বলেন, এফআরপি টাওয়ারটি শুধুমাত্র একটি অবকাঠামোগত মাইলফলক নয়। এটি একটি টেকসই, ভবিষ্যত-প্রস্তুত টেলিকম ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে আমাদের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
তিনি বলেন, উদ্ভাবনী উপকরণ এবং আরও পরিবেশবান্ধব স্থাপন-পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা এমন এক অবকাঠামো নির্মাণ করছি যা কার্যকর, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব, যা বাংলাদেশের ডিজিটাল ভিত্তিকে আরও মজবুত করবে। এছাড়া টাওয়ারটির আধুনিক ও নান্দনিক নকশা প্রচলিত ল্যাটিস ও মনোপোল টাওয়ারের চেয়ে একে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সারাদেশে ডেটার চাহিদা দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় দৃঢ়, সম্প্রসারণযোগ্য ও টেকসই নেটওয়ার্কে মনযোগ দিয়েছে ইডটকো; সে দিকটি মাথায় রেখেই এফআরপি প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। এ সফলতার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে দেশের যেসব অঞ্চলে এর বিশেষ ফিচারগুলো দক্ষভাবে কাজে লাগানো সম্ভব হবে, সেসব স্থানে এফআরপি টাওয়ার স্থাপন অব্যাহত রাখবে এই টাওয়ার কোম্পানি।