Monday 20 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘৩৫-৪০% ভোটে কেউ সরকার গঠন করে সংবিধানকে খেলার মাঠ বানায়’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:০৩

ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম।

নোয়াখালী: ‘৩৫-৪০ শতাংশ ভোট পেয়ে কেউ সরকার গঠন করে, তারপর সংবিধানকে নিজেদের খেলার মাঠ বানায়। এটা চলতে পারে না। ৪০ শতাংশ ভোটের সরকার হলে বাকি ৬০ শতাংশ ভোটের মূল্য কোথায়?

সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে নোয়াখালী জেলা জামে মসজিদ চত্ত্বরে পিআর আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, চব্বিশের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর আমরা আশা করেছিলাম দেশ সঠিক পথে এগোবে। কিন্তু আজকের বাস্তবতায় সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হচ্ছে না। আমরা পাঁচ দফা দাবির মাধ্যমে আন্দোলন শুরু করেছি। ৩১টি দল ঐক্যমত কমিশনে অংশগ্রহণ করেছে, তার মধ্যে ২৫টি দল পিআরের পক্ষে মত দিয়েছেন এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দাবি করেছেন। রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে ঐক্যমত হওয়া ৮৪টি বিষয়ে তালবাহানা না করে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

মুফতী ফয়জুল করীম আরও বলেন, আগামীতে পরীক্ষিত দুর্নীতিবাজ, খুনি ও জুলুমবাজদের ক্ষমতায় নেওয়া যাবে না। আওয়ামী লীগ নিজেদেরকে দেশের মালিক আর জনগণকে তাদের দাস মনে করেছে। তাদের অপশাসনের বিরুদ্ধে কথা বললেই খুন, গুম করেছে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আছে জানিয়ে জনগণকে মিথ্যে গল্প শুনিয়েছে। অথচ দেশের কোনো ব্যাংকে টাকা নেই। সব টাকা তারা বিদেশে পাচার করে নিয়েছে। বৈদেশিক ঋণের চাপে দেশের অগ্রযাত্রা থমকে যাচ্ছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নোয়াখালী জেলা উত্তর এর সভাপতি মাও. নজীর আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ উদ্বোধন করেন দলটির নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ এর সভাপতি মাও. ইউসুফ ভুঁইয়া।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মারুফ শেখ বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে প্রমাণিত হয় জুলুম করে, অত্যাচার করে, জনগণের কন্ঠরোধ করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না।

শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান বলেন, হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে এদেশের মানুষ নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে একটি সুখি সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে চায়।

জেলা সেক্রেটারি এইচ. এম কাউছার আহমাদ এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন—মাওলানা ফিরোজ আলম, মাও. আবু নাছের, মুদ্দাচ্ছির হোসাইন, নুরুদ্দিন আমানতপুরী, ইকবাল হোসাইন, দিদার হোসাইন, মু. ওয়ালী উল্যাহসহ জেলা ও থানার নেতৃবৃন্দ।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর