ঢাকা: সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সক্ষমতা এবং উচ্চ-পদস্থ নীতি নির্ধারণী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ)।
সোমবার (২০ অক্টোবর) পিপিআর, ২০২৫-এর আলোকে সরকারি ক্রয় প্রশিক্ষণ কারিকুলাম উন্নয়ন বিষয়ক এক কর্মশালায় এ গুরুত্বারোপ করা হয়। সরকারি ক্রয় প্রশিক্ষকরা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) -এর নবনিযুক্ত সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয় পর্যায়ে সরকারি ক্রয় বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণার ঘাটতি রয়েছে। এসব ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে পারলে প্রকল্প বাস্তবায়নে আরও অগ্রগতি অর্জন সম্ভব। মন্ত্রণালয়গুলোকে সরকারি ক্রয় বিষয়ে শক্তিশালী করতে পারলে বিভাগ ও অধিদফতরও শক্তিশালী হবে। পাশাপাশি সচিবদের যদি এ বিষয়ে দক্ষতা থাকে, তাহলে কর্মকর্তাদেরও ধারণা বৃদ্ধি পাবে।
সরকারি ক্রয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সব সচিবদের জন্য কর্মশালা আয়োজন করা হবে- জানিয়ে বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব এসএমমঈন উদ্দীন আহম্মেদ বলেন, পিপিআর, ২০২৫-এ জাতীয় ক্রয় প্রশিক্ষকদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে এবং দেশে একটি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় ও সংস্থায় একটি করে প্রকিউরমেন্ট ইউনিট প্রতিষ্ঠার বিষয়ও পিপিআর, ২০২৫-এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কর্মশালায় বিপিপিএ’র পরিচালক ও জাতীয় ক্রয় প্রশিক্ষক শাহ ইয়ামিন-উল ইসলাম পিপিআর, ২০২৫ -এ নতুন ও পরিবর্তিত বিধিসমূহের উপর একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
উপস্থিত জাতীয় ক্রয় প্রশিক্ষকরা বিভিন্ন বিধির বিষয়ে তাদের পরামর্শ প্রদান করেন।
দুই ধাপে পরিকল্পিত কর্মশালার প্রথম দিনে মোট ৭৩ জন জাতীয় ক্রয় প্রশিক্ষকের মধ্যে প্রথম দিন ৩০ জন উপস্থিত ছিলেন। ২৬ অক্টোবর ২০২৫ বাকিদের নিয়ে দ্বিতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সংশোধিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ এবং নতুন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০২৫ যুগপৎ কার্যকর করা হয়েছে। জাতীয় ক্রয় প্রশিক্ষকরা যাতে পিপিআর, ২০২৫ সম্পর্কে প্রশিক্ষণে অভিন্ন ও একই ধরনের বার্তা প্রদান করেন- সেটি নিশ্চিত করতে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। একই সাথে তাদের পরামর্শ নিয়ে চলমান সরকারি ক্রয় প্রশিক্ষণের মডিউলসমূহেও পরিবর্তন আনা হবে।