Monday 20 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বগুড়ায় সারজিস আলমের সমন্বয় সভা চলাকালে ককটেল বিস্ফোরণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২০ অক্টোবর ২০২৫ ১৯:০৭ | আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৫ ২১:৫০

বক্তব্য দিচ্ছেন সারজিস আলম। ছবি: সারাবাংলা

বগুড়া: বগুড়ায় জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) উত্তরাঞ্চীলয় মূখ্য সংগঠক সারজিস আলমের উপস্থিতিতে দলটির সমন্বয় সভা চলাকালে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (২০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সভাটি চলাকালে এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

এ ঘটনার জন্য এনসিপি নেতারা পুলিশের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিভাবে কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটিয়েছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

বিজ্ঞাপন

পরে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে পুলিশি নিরাপত্তায় বগুড়ার সীমানা পার করে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে চলে যান।

জানা গেছে, সোমবার বিকেল ৩টায় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী এনসিপির জেলা শাখার অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করতে বগুড়ায় পা রাখেন সারজিস আলম। এরপর তিনি শহরের আলতাফুন্নেছা খেলার মাঠ সংলগ্ন অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেন।

পরে তিনি বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির জেলা সমন্বয় কমিটির সভায় অংশ নেন। সেখানে কেন্দ্রীয় নেতা সাকিব মাহদীসহ জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী জেলা পরিষদ মিলনায়তনের সভাস্থল লক্ষ্য করে পর পর দুটি শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

এসময় চারদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের লোকজন আতংকিত হয়ে ছোটাছুটি করতে থাকেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

এসময় এনসিপি নেতা সারজিস আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিতে হবে। প্রশাসনের গাফিলতির কারনে এমনটা ঘটেছে। কারন, এনসিপি নেতাদের নিরাপত্তা দিতে বগুড়া জেলা প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে।’

বগুড়া জেলা এনসিপি নেতা ডা. সানি জানান, এনসিপি’র মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমের উপস্থিতিতে বগুড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে তাদের সমন্বয় সভা চলছিল। এসময় জেলা পরিষদ চত্বরে দু’টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে একটি বিস্ফোরিত হয়। অপর ককটেলটি অবিস্ফোরিত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে। এর আগে জয়পুরহাটে সমন্বয় সভা শেষ করে বগুড়ায় আসেন সারজিস আলম। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিমিনয় শেষে তিনি জেলা পরিষদে সমন্বয় সভায় যোগ দেন।

বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান বাসির জানান, এনসিপি’র সমন্বয় সভা চলাকালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থার করা হয়েছিল। কিভাবে কে বা কারা ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটিয়ে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে। সভা শেষে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে পুলিশি নিরাপত্তায় বগুড়ার সীমানা পার করে দেওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি পঞ্চগড়ের উদ্দেশ্যে চলে যান।

তিনি আরো বলেন, সমন্বয় সভা চলাকালে বিকেল ৪টার দিকে করতোয়া নদীর পাশে একটি ভবনের ছাদ থেকে দুর্বৃত্তরা জেলা পরিষদ চত্বরে দু’টি ককটেল নিক্ষেপ করে। এরমধ্যে একটির ককটেল বিস্ফোরিত হয়। অপরটি অবিস্ফোরিত থেকে যায়। পরে সেটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর