ঢাকা: শিশু খাদ্য আমদানির শর্ত শিথিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে শিশু খাদ্য আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিন সংরক্ষণের হার নির্ধারিত হবে। বর্তমানে শিশুখাদ্য আমদানিতে ১০০ শতাংশ মার্জিন রাখার শর্ত রয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অধিকতর সুসংহত রাখার লক্ষ্যে পণ্যের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে শতভাগ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে বলা হয়। এসব পণ্যের মধ্যে ‘নন সিরিয়াল ফুড অর্থাৎ অ-শস্য খাদ্যপণ্য’ এবং ‘প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়: যেমন টিনজাত খাদ্য, চকলেট, বিস্কুট, জুস, কফি, সফট ড্রিংকস্ ইত্যাদি’ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে সম্প্রতি কোনো কোনো ব্যাংক অত্যাবশ্যকীয় শিশুখাদ্যকে উল্লিখিত পণ্যসমূহের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করে শতভাগ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের জন্য সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকদের ওপর বাধ্যবাধকতা আরোপ করছে।
এমতাবস্থায় পণ্যসমূহের মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় শিশুখাদ্য অন্তর্ভুক্ত হবে না। অর্থাৎ শিশুখাদ্য আমদানি ঋণপত্র (এলসি) স্থাপনের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ মার্জিনের হার নির্ধারিত হবে।