জবির ফুটপাথ দখল, চলাচলে ভোগান্তি
১০ জুলাই ২০১৮ ১৯:৩৯
।। বিশ্ববিদ্যালয় করেসপন্ডেন্ট ।।
জবি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) সংলগ্ন ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে লেগুনা স্ট্যান্ড, রিক্সার গ্যারেজ, বাসের গ্যারেজ এবং টিকেট কাউন্টার। ফুটপাতের উপরই থাকে সারি সারি রিকশা। আছে রিকশা মেরামতের দোকান, চায়ের দোকান ও সেলুন।
জানা গেছে, খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের যোগসাজশেই গড়ে উঠেছে এসব স্থাপনা।
এভাবে ফুটপাত দখল করে রাখায় যাতায়াতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছেন জবি, কলিজিয়েট স্কুল, হিড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, বাংলাবাজার স্কুলের শিক্ষার্থী ও পথচারীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, জবির বন্ধ থাকা দ্বিতীয় ফটক ও কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে লেগুনা স্ট্যান্ড। বারবার এই স্ট্যান্ড তুলে দেওয়ার বলা হলেও এ বিষয়ে প্রশাসন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। স্ট্যান্ডকে ঘিরে গড়ে উঠেছে গাড়ি মেরামতের দোকানও।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের পাশে অবস্থিত ইমার্জেন্সি গেটের পাশে অবৈধভাবে ফুটপাতের রাস্তা দখল করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন বাসের কাউন্টার। এর মধ্যে রয়েছে স্কাইলাইন, সাভার পরিবহন, স্বজন পরিবহন, আজেমেরী গ্লোরি, তানজিল পরিবহন।
অন্যদিকে ক্যাম্পাসের ভেতরে জায়গা না থাকায় শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো ফুটপাতকে আড়ালে করে রাখে। এই সুযোগে ফুটপাত দখল করে অবাধেই গড়ে উঠেছে রিক্সার গ্যারেজ। ১০০টির বেশি রিক্সা সারি করে রাখা হয় এই ফুটপাতের উপর। ফলে বাকি জায়গা দিয়ে অনেকটা লাইন ধরেই হাঁটতে হয় পথচারী ও শিক্ষার্থীদের।
স্থানীয়রা জানান, এসব রিক্সার মালিক অর্থনীতি বিভাগের এক কর্মচারী এবং রেজিস্ট্রার অফিসের এক কর্মচারী। এরা নিজের ক্ষমতার অবৈধ প্রয়োগ করেই এই গ্যারেজ করেছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রাতুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, প্রতিনিয়ত ক্যাম্পাসে আসতে হয়। ফুটপাতের রাস্তা দখল করে কাউন্টার ও দোকান করায় অনেক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। মাঝে মাঝে অনেকেই এদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পরেন। এসব দোকান ও কাউন্টার তুলে দিলে সবারই যাতায়াতের সুবিধা হয়।
এই ফুটপাত ব্যবহার করে নিয়মিত কর্মস্থলে যান রফিক মিয়া। তিনি বলেন, প্রতিদিন যাতায়াত করতে অনেক সমস্যা হয়। ফুটপাত দখল করায় দ্রুত হাঁটা যায়না।
ফুটপাতে রাখা রিকশাগুলোর মধ্যে ৩৫ টির মালিক ফরিদ। অবশ্য তার দাবি, সবদিন না, মাঝে মাঝে এখানে রিক্সা রাখেন তিনি। এটি বৈধ কি না জানতে চাইলে তিনি আর রিক্সা রাখবেন না বলে জানান।
এদিকে বাসের গ্যারেজ ও কাউন্টার বিষয়ে জানতে বাহাদুর শাহ পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সালামকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেন নি।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, দীর্ঘদিন ঘরে লেগুনা স্ট্যান্ড ও টিকেট কাউন্টারগুলো ওই স্থানে রয়েছে। ফলে এখন সেগুলো তুলে দিতে হলে তাদের আগে অন্য কোথাও জায়গা করে দিতে হবে।
জবির দ্বিতীয় ফটকের লেগুনা স্ট্যান্ড সম্পর্কে ওসি বলেন, যখন ফটক খুলে দেওয়া হবে তখন স্ট্যান্ড এমনিতেই উঠে যাবে।
রিক্সার গ্যারেজ সম্পর্কে জানতেন না বলে দাবি জবির প্রক্টর নূর মোহাম্মদের। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, আগামীকাল বুধবারই (১১ জুলাই) এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া লেগুনা স্ট্যান্ডসহ সব অবৈধ স্থাপনা তুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/জেআর/এসএমএন