বাংলাদেশে আগামীতে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত চলমান ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের আগামী কিস্তির অর্থ ছাড় করবে না আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যে রাজনৈতিক সরকার আসবে, তারা আইএমএফ-এর ঋণের শর্ত মানবে কি না- সেই নিশ্চয়তা না পেয়ে কিস্তির অর্থ ছাড় করতে রাজি নয় সংস্থাটি।
ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনে বাংলাদেশকে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে সম্মেলনে অংশ নেওয়া অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সেখানে সাংবাদিকদের জানান।
প্রসঙ্গত এ পর্যন্ত চলমান এ ঋণ কর্মসূচির ৫টি কিস্তির অর্থ ছাড় করা হয়েছে। ঋণের ৬ষ্ঠ কিস্তি ছাড় করার আগে পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী ২৯ অক্টোবর আইএমএফ প্রতিনিধিদলের ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বর শেষে কিংবা আগামী জানুয়ারির প্রথমার্ধে ঋণের ৬ষ্ঠ কিস্তি ছাড় করার কথা ছিল।
সরকারি সূত্রগুলো মতে, ৬ষ্ঠ কিস্তি ছাড়ের পূর্বশর্ত হিসেবে আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছিল, এর মধ্যে শুধু রাজস্ব আহরণের শর্ত পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। বাকি সবগুলো পূরণ করা হয়েছে।
ওয়াশিংটনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, ঋণের আগামী কিস্তির অর্থ ডিসেম্বরের বদলে মার্চ-এপ্রিলে ছাড় করবে আইএমএফ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আমরা সব শর্ত পূরণ করলেও সময়মতো কিস্তির অর্থ নাও পেতে পারি। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের পর রাজনৈতিক সরকার ঋণের শর্তগুলো মানবে কি-না, সেটি নিশ্চিত হওয়ার পর তারা ৬ষ্ঠ কিস্তির অর্থ ছাড় করবে।
উল্লেখ্য, ডলার সংকট পরিস্থিতিতে আইএমএফ-এর কাছ থেকে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ চুক্তি সই করেছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। বর্তমান অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সংস্থাটি থেকে আরও ৮০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি সই করেছে। ফলে মোট ৫৫০ কোটি ডলার ঋণের মধ্যে ৫ম কিস্তি পর্যন্ত প্রায় ৩৬০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ।