ফরিদপুর: ফরিদপুরে সাবেক স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য একে আজাদের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় যুবদলকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা যুবদল।
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এ প্রতিবাদ জানান।
তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের পরমানন্দপুর বাজারে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ডামি নির্বাচনের স্বতন্ত্র এমপি একে আজাদের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় যুবদলের কারও সম্পৃক্ততা ছিল না। কিন্তু সারাদেশে যুবদলের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াসের একটি অংশ হিসেবে একে আজাদ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই ঘটনায় যুবদল জড়িত বলে ভিত্তিহীন বক্তব্য দেন। এরপর এর সত্যতা যাচাই ছাড়াই তা প্রচারিত হওয়ায় বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা যুবদলের বিরুদ্ধে এই পরিকল্পিত তথ্য সন্ত্রাস চালাচ্ছে।’
তারা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান এবং চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার নিরসণে বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ ভূমিকা প্রত্যাশা করেন।
এ ছাড়াও পতিত আওয়ামী লীগের অপরাধীদের গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। এ জন্য প্রশাসনের উদাসীনতাকে দায়ী করা হয়।
এ সময় জেলা যুবদলের সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএম ইউসুফ ও সাধারণ সম্পাদক রেজোয়ান বিশ্বাস তরুণ উপস্থিত ছিল।
পরে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। একে আজাদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে জনতা ব্যাংকের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
অপরদিকে, সোমবার রাতে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নোটিশে সংগঠনের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় শৈথিল্য প্রদর্শন করায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে অভিযোগ এনে জেলা যুবদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ইতোমধ্যে তারা কেন্দ্রীয় নেতাদের শোকজের জবাব দিয়েছেন।