ঢাকা: টাঙ্গাইল জেলাকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর হাইকোর্টের সামনে টাঙ্গাইলবাসীর উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনু্ষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে টাঙ্গাইলবাসীরা জানান, টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব তারা মেনে নেবেন না। টাঙ্গাইল নিয়ে টানাহেঁচড়া চলবে না। টাঙ্গাইল যদি ঢাকা বিভাগে না থাকে, তাহলে একে স্বাধীন বিভাগ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সভাপতি রবিন খান বলেন, ‘টাঙ্গাইল ঢাকার সঙ্গেই থাকবে, উল্টো পথে হাঁটবে না। ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল জেলাকে ময়মনসিংহ বিভাগে অন্তর্ভুক্ত করাকে আমি ষড়যন্ত্র বলেই মনে করছি। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।’
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, ‘কোথাও মধু কিংবা সোনার খনি থাকলে সবাই লুফে নিতে চায়। টাঙ্গাইল তেমন একটি স্থান তাই বারবার এই জেলাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়। এর আগেও একই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল, তখন ঢাকা ও টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ করে দাবি আদায় করেছিলাম। অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ফের একই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, আমরা টাঙ্গাইলবাসী এটা মেনে নেব না।’
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহ-সভাপতি সুরুজ মন্ডল বলেন, ‘টাঙ্গাইল ঐতিহ্যবাহী জেলা। একটি বিভাগে যা প্রয়োজন তা টাঙ্গাইলে আছে। আমরা ঢাকামুখী, তাই আমরা ঢাকা বিভাগে থাকতে চাই। নয়তো টাঙ্গাইলকে বিভাগ হিসেবে বাস্তবায়নের জন্য কাজ করব।’
টাঙ্গাইল জেলা সমিতির সভাপতি ড. মো. ইব্রাহীম হোসেন খান বলেন, ‘আমাদের দাবি খুবই স্পষ্ট- টাঙ্গাইলকে ঢাকার সঙ্গে রাখতে হবে। একই দাবিতে এর আগে যারা যমুনা সেতুর সম্মুখে কর্মসূচি দিয়েছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। ইতোমধ্যেই টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে যাতে টাঙ্গাইলকে ময়মনসিংহ বিভাগে নেওয়া না হয়। আমরা অচিরেই একটি স্মারকলিপি দেব। এরপর আমরা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখব, তারপর আমাদের কর্মসূচি দিব।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহকে দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ঘোষণার সময়ই টাঙ্গাইলকে ওই বিভাগে যুক্ত করার প্রস্তাব ছিল। সে সময়ও টাঙ্গাইলের মানুষ গণস্বাক্ষর, মানববন্ধন ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে এর প্রতিবাদ করেন।