ঢাকা: ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ উদ্যোগের (ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ) নবম সংস্করণ আগামী ২৭-৩০ অক্টোবর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিতে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২৬ অক্টোবর রিয়াদের উদ্দেশে বিশেষ বিমানে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
জানা গেছে, এবারের ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এফআইআই-৯) এর নবম সংস্করণ রিয়াদের কিং আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এখানে অংশ নেওয়া ছাড়াও ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এই সম্মেলনে এবারের স্লোগান ‘সমৃদ্ধির চাবিকাঠি’। এই সম্মেলনে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী, উদ্ভাবক এবং নীতিনির্ধারকদের ‘সমৃদ্ধির চাবিকাঠি’ থিমের অধীনে একত্রিত করা হবে এবং যা আজকের জটিল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিনিয়োগ কৌশল এবং উদ্ভাবন অন্বেষণ করতে সহায়তা করবে। এবারের সম্মেলনে ‘বিনিয়োগ দিবস’ থাকবে। যেখানে বিশ্ব নেতারা নতুন চুক্তি তৈরিতে এবং নতুন প্রযুক্তি প্রদর্শনের জন্য নিবেদিত থাকবেন বলে জানা যায়।
এফআইআই-৯ হল মানবজাতির অগ্রগতির পথে যেসব বাধা তৈরি করে সেগুলোর সমাধান করা। এছাড়া, প্রযুক্তিগত ও নীতিগত অগ্রগতি প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা যায়-সেসব সম্পর্কেও খোলামেলা আলোচনা হবে। কিছু অপ্রত্যাশিত চ্যালেঞ্জ তৈরি করে অগ্রগতির ক্ষেত্রে। তাই এআই এবং উদীয়মান প্রযুক্তির অগ্রগতির নিয়ন্ত্রক ও নৈতিক বাধা তৈরি করার সময় সুযোগ তৈরি, যাতে না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি থাকবে। এছাড়াও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সম্পদের বৈষম্যের কারণে বিশ্বব্যাপী সংযোগ ব্যাহত হচ্ছে বলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান।
এফআইআই ইনস্টিটিউট এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান রিচার্ড আটিয়াস বলেন, ‘আমাদের থিম-সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলির জটিলতা স্বীকার করে এবং মানবতার জন্য ইতিবাচক প্রভাব তৈরির সুযোগের দিকে ইঙ্গিত করতে হবে। এফআইআই-৯ হল সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির লক্ষ্যে নতুন চিন্তাভাবনা, কৌশলগত কথোপকথন এবং অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জায়গা।’ এই তিনদিন বিনিয়োগকারী সিইও এবং রাষ্ট্রের যারা ব্যবসায়ী নীতিনির্ধারক উপস্থিত থাকবেন, তারা অংশগ্রহণকারী সকল দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনা করতে পারবেন।
২৮ এবং ২৯ অক্টোবর মূল সম্মেলনে উৎপাদনশীলতার উপর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং রোবোটিক্সের প্রভাব, ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের মধ্যে সম্পদ সৃষ্টি, সম্পদের ঘাটতির ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব, ভবিষ্যতের কর্মশক্তি গঠনকারী জনসংখ্যাগত পরিবর্তন এবং পরিবেশগত স্থায়িত্বের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভারসাম্য বজায় রাখার কৌশল সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। ৩০শে অক্টোবর বিনিয়োগ দিবসের মাধ্যমে এই সম্মেলন শেষ হবে, যা উচ্চ প্রভাবশালী চুক্তি তৈরি, নেটওয়ার্কিং, পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তি প্রদর্শন এবং উদ্যোগের কৌশল অন্বেষণের জন্য কাজে দেবে। ইভেন্টের কাছাকাছি সময়ে বিশেষায়িত কর্মশালা এবং নেটওয়ার্কিং ইভেন্টসহ অতিরিক্ত আরও প্রোগ্রামিং ঘোষণা করা হবে। এফআইআই ২৫০টি ইন্টারেক্টিভ সেশনে সাত হাজার ৫০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি এবং ৬০০ জন বক্তা একত্রিত হবেন। তবে বিশেষভাবে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এর সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করার বিষয়টা গুরুত্বসহকারে দেখছে বাংলাদেশ।