গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ঘরবাড়ি হারানো হাজারো ফিলিস্তিনির জন্য এখন কবরস্থানই একমাত্র আশ্রয়। ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকাগুলোর মধ্যে অনেকে এখন কবরস্থানের পাশে বা ভেতরে তাঁবু গেঁড়ে জীবনধারণ করছেন। মানবিক সংকট চরমে পৌঁছালেও যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকায় ত্রাণ কার্যক্রম এখনো সীমিত পর্যায়ে চলছে। সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
উত্তর গাজার বেইত হানুন শহর থেকে বাস্তুচ্যুত রামি মুসলেহ নামে এক ফিলিস্তিনি আল জাজিরাকে জানান, ‘আমাদের সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না। সন্তানদের কবরের পাশে বড় করতে হচ্ছে।’
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজার মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থাৎ অন্তত ১৯ লাখ মানুষ যুদ্ধ চলাকালীন বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অনেকে একাধিকবার, কেউ কেউ ১০ বারেরও বেশি স্থানান্তরিত হয়েছে। দক্ষিণ গাজার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এখন তিল ধারণের জায়গা নেই। উত্তর গাজা ও গাজা সিটি থেকে ইসরায়েলি নির্দেশে পালিয়ে আসা লোকদের ওপর আবারও বোমা হামলা হয়েছে পথে।
জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, গাজার প্রায় ৬১ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ এখন শহরজুড়ে ছড়িয়ে আছে, বহু পাড়া-মহল্লা সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন। অনেকে সেই ধ্বংসস্তূপেই আশ্রয় ও পানি খুঁজছেন।
অক্টোবর ১০ থেকে কার্যকর যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও ইসরায়েল এখনো গাজায় ত্রাণ প্রবেশে কঠোর সীমাবদ্ধতা বজায় রেখেছে।
বর্তমানে কেরেম শালোম (কারেম আবু সালেম) সীমান্ত দিয়ে গাজার কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণাঞ্চলে সীমিত ত্রাণ প্রবেশ করছে, তবে উত্তরাঞ্চলের কোনো ক্রসিং এখনো খোলা হয়নি।