Friday 24 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২০ হাজার টাকা ঘুষ দিতে না পারায় নলকূপের বরাদ্দ বাতিল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:১০ | আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:১৩

ছবি: সংগৃহীত

বরিশাল: ঝালকাঠির নলছিটিতে দুইটি নলকূপ (সাবমারসিবল) বরাদ্দ থাকলেও একটি নলকূপও পেলেন না শাহজাহান ঢালী। তিনি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়নের খাগড়াখানা গ্রামের বাসিন্দা।

নিরাপদ ও সুপেয় পানির অভাবে তিনি ও আশেপাশের কয়েকটি পরিবার নিয়ে দীর্ঘ দিন ভোগান্তিতে ছিলেন। বহু চেষ্টা ও তদ্বিরের পর গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের নলছিটি উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয় ও ঢাকা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে পৃথক দুটি নলকূপ বরাদ্দ হয় শাহজাহান ঢালীর নামে। কিন্তু, দুঃখের বিষয় ভুক্তভোগী শাহজাহান একটি নলকূপও পাননি। একটি খোড়া অজুহাতে তার নামে বরাদ্দকৃত নলকূপ বাতিল হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী শাহজাহান ঢালী সাংবাদিকদের জানান, তার বাড়ির কাছাকাছি কোনো সুপেয় ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা নেই। বাড়ি থেকে অনেক দূরে একটি বিদ্যালয়ের সামনে থাকা নলকূপ থেকে তার স্ত্রী পানি এনে সাংসারিক কাজে ব্যবহার করতেন। কিন্তু গত বছর থেকে তার স্ত্রীও অসুস্থ। সুপেয় পানির অভাবে একইভাবে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন তার আশেপাশে থাকা পরিবারগুলো। এ কারণে তিনি একটি নলকূপের জন্য ‘সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ-২০২৪/২৫’ প্রকল্পে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়ে আবেদন করেন। এর পাশাপাশি তিনি ঢাকা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরেও নলকূপের জন্য আবেদন করেন। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে উভয় স্থান থেকেই তার নামে নলকূপ বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ পেয়ে নলকূপ স্থাপনের ব্যয় বাবদ সরকারি ফান্ডে অগ্রণী ব্যাংকের নলছিটি শাখার মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জমা দেন তিনি। কিন্তু, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি এখনো কোনো নলকূপ পাননি।

তিনি অভিযোগ করেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়ের মেকানিক শহিদ নলকূপ বসানোর জন্য তার ২০ হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তার নামে বরাদ্দকৃত নলকূপ বাতিল করা হয়েছে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে শাহজাহান ঢালীর নামে বরাদ্দকৃত নলকূপ বাতিল করে অন্যত্র দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তাই তিনি বরাদ্দকৃত নলকূপ পাননি। মেকানিক শহিদের টাকা চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম জানান, তিনি এখান থেকে বদলি হয়ে গেছেন।

নলছিটির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লাভলী ইয়াসমিন জানান, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি। তাই এ ঘটনার ব্যাপারে কিছু জানি না। আর আমার কাছে এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগও করেননি।’