রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করার দাবিতে ১২ ঘণ্টা যাবৎ অনশন করছেন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদেক রহমান।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাকে অনশন করতে দেখা যায়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাকসুর সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা এক যৌথ আবেদনে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিভাগীয় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত অডিও ক্লিপ, স্ক্রিনশট এবং ফরেনসিক রিপোর্টসহ বিভিন্ন অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
শিক্ষার্থীরা তাদের আবেদনে উল্লেখ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন (১৯৭৩) অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া সর্বদা স্বচ্ছতা, যোগ্যতা ও ন্যায়বিচারের নীতি অনুসারে পরিচালিত হওয়া উচিত। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
তাদের দাবিগুলো হলো— বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট যথাযথ, স্বাধীন ও ফরেনসিক-সমর্থিত তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য আনুষ্ঠানিক দাবি উত্থাপন করা, তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নিয়োগ ফলাফল প্রকাশ স্থগিত রাখার সুপারিশ করা এবং ন্যায়বিচার ও আস্থার পরিবেশ পুনরুদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি রাকসু শিক্ষার্থীদের প্রকৃত প্রতিনিধি হিসেবে নৈতিক ও নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে এই বিষয়ে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ঐতিহ্য রক্ষা করবে।’
এ বিষয়ে অনশনরত নাট্যকলা বিভাগের ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাদেক রহমান বলেন, ‘আমাদের একটাই দাবি, সেটা হচ্ছে স্বচ্ছ তদন্ত প্রক্রিয়ার মাধ্যনে সুষ্ঠু নিয়োগ নিশ্চিত করা। আমরা জানতে পেরেছি যে, আমাদের বিভাগের নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি দুর্নীতির অভিযোগ আছে। সেই দুর্নীতির প্রমাণ হিসেবে আমরা একটা অডিও ক্লিপও পেয়েছি। আমরা চাই এই বিষয়ে সুষ্ঠু জবাবদিহিতা আসুক। সেই জবাবদিহিতার জন্য আমরা বারবার বসার চেষ্টা করলেও বিভাগের সভাপতি আমাদের সঙ্গে বসেননি।’
তিনি আরো বলেন, ‘গতকাল আমরা ৪ ঘণ্টা প্রতীকী অনশনে ছিলাম, আজ বিকেল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশনে থাকছি। যদি আমাদের দাবি আদায় না হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবো।’