ঢাকা: রাজধানী ঢাকার সর্ববৃহৎ সামাজিক, শিক্ষামূলক ও ছাত্র কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ‘দি স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা’র ২০২৫ সেশনের মেধা মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাজধানীর বাদশাহ ফয়সাল ইনস্টিটিউটে এই মেধা মূল্যায়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এই পরীক্ষা চলে। এ সময় পরীক্ষা পরিদর্শনে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত ভিপি আবু সাদিক কায়েম, সাবেক পরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন, ড. মইনউদ্দিন, অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া, সুলতানা মাহমুদ রিপন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ইঞ্জিং আসাদুজ্জামান ভুঁইয়া।
এ ছাড়াও দি স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হাফেজ আবু তাহের, সদস্য সচিব মুহিব্বুল্লাহ আল হুসাইনী ও নির্বাহী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সাদিক কায়েম বলেন, ‘দি স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাই এতো সুন্দর আয়োজন করার জন্য। ৬৪ জেলায় যাতে এ রকম মেধাভিত্তিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্র এবং সরকার এ রকম প্রকল্প করা দরকার বিভিন্ন পর্যায়ে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও এ রকম আয়োজন সম্পৃক্ত হওয়া দরকার। আর পাঠ্যপুস্তকে জুলাইকে অন্তর্ভুক্ত করা, যাতে আগামী প্রজন্মের সামনে কোনো ফ্যাসিবাদীকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে না দাঁড়ায়।’
বৃত্তি পরীক্ষার বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হাফেজ আবু তাহের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন, চিন্তাধারা বিকশিত করার লক্ষ্যে বর্ষপরিক্রমায় দি স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা শিক্ষা বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসি লেভেলে জিপিএ-৫ সংবর্ধনা, তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য সচেতনতা, ক্রীড়া, সাহিত্য সংস্কৃতি, বৃক্ষরোপণ, ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং, কর্মসংস্থান, মানব উন্নয়ন প্রকল্পের মতো অনেক প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করে তার ৩০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। ১৯৯৪ সালে শুধুমাত্র অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের মাধ্যমে এই কার্যক্রমের সূচনা হয়। সময়ের পরিক্রমায় বর্তমান দি স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ঢাকার নামক বেসরকারি সংগঠনটি প্রতিবছর তৃতীয় থেকে নবম (এবার দশম) শ্রেণির স্কুল ও মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বৃত্তি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান রাজধানীর প্রায় সকল স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে থাকে। আজকের শিক্ষার্থীদেরকে আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার লক্ষ্যে এমন বৃত্তি প্রকল্প আয়োজন করার মাধ্যমে উৎসাহ দিয়ে থাকি।’
বৃত্তি পরীক্ষায় রাজধানীর শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় তিন সহস্রাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। আগত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা এই মেধা মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে সামনের দিনগুলোতে শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন, চিন্তাধারার বিকাশ সাধনে এমন কার্যক্রমে অংশ নিয়ে ও সহযোগিতা করবেন বলে তারা জানান।