চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তারেক রহমান দেশের প্রত্যেক অঞ্চলে ‘স্পোর্টস কমপ্লেক্স’ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে বিভাগীয় জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত পর্বের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘তারেক রহমান দেশের প্রত্যেক অঞ্চলে স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এটা আমরা অবশ্যই করবো। এসব কমপ্লেক্সে ক্রিকেট, ফুটবল, হকিসহ বিভিন্ন খেলার সুযোগ থাকবে এবং যেখানে যেখানে যোগ্যতা আছে, সবাই নিজের পছন্দমতো অংশগ্রহণ করতে পারবে। এর মাধ্যমে আগামীর ক্রীড়াঙ্গনের নেতৃত্বও গড়ে উঠবে।’
স্পোর্টস কমপ্লেক্সগুলোতে চাকরিরও সুযোগ থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি কমপ্লেক্সে ট্রেনারসহ বিভিন্ন পদে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া একটি বিশেষ স্পোর্টস চ্যানেলের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়ামুখিরা সর্বশেষ খবর ও অনুষ্ঠান সহজে উপভোগ করতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘স্পোর্টস কেবল স্বাস্থ্য ও বিনোদন নয়, এটি দেশের সফট পাওয়ার হিসেবে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিও তুলে ধরবে। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ার মতো আমরা চাই স্পোর্টসের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করা।’
খেলাধূলার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, ‘স্পোর্টস যে অর্থনীতিতে কত বড় অবদান রাখতে পারে, তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন ব্রাজিল ও অস্ট্রেলিয়া প্রমাণ করেছে। তাদের জিডিপির বড় অংশই স্পোর্টস থেকে আসে। তাই স্পোর্টসের উন্নয়ন কেবল ক্রীড়াঙ্গনকে নয়, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকেও এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সভাপতিত্বে ও টুর্নামেন্টের মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক বিপ্লব দে পার্থের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সাফজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক, জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মো.শরীফুল আলম, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক হারনুর রশীদ হারুন ও মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলার সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় নেতা ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া, মহানগরের সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন বক্তব্য দেন।
টুর্নামেন্টের মিডিয়া কমিটির সদস্য সচিব ইদ্রিস আলী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবস্থাপনায় এবং জাতীয়তাবাদী ক্রীড়া দলের সহযোগিতায় আয়োজন করা হয় ‘জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট’। এতে চারটি দল অংশ নেয়।
প্রথম খেলায় লাল দল এবং নীল দল অংশ নেয়। নীল দল ১-০ গোলে জয়ী হয়। দ্বিতীয় খেলা হলুদ দল এবং সবুজ দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। হলুদ দল ১-০ গোলে জয়ী হয়।
পরে হলুদ এবং নীল দলের মধ্যে চূড়ান্ত পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেটা গোলশূন্য অমিমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়। পরে ট্রাইবেকারে হলুদ দলকে হারিয়ে সাব্বিরের নীল দল চ্যাম্পিয়ন হয়। জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় রুম্মন বিন ওয়ালী সাব্বির, আলফাজ, জাহেদ পারভেজ ও সুজন খেলায় নেতৃত্ব দেন।