গাজার প্রশাসন স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের হাতে গাজা শাসনের দায়িত্ব দিতে একমত হয়েছে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই কমিটি আরব দেশগুলোর সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তায় সাধারণ নাগরিক জীবনের মৌলিক সেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এছাড়া বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা (পিএলও)-কে পুনরুজ্জীবিত করা ও একটি জাতীয় কৌশল নির্ধারণে বৈঠক আহ্বানের কথাও জানানো হয়। উল্লেখ্য, হামাস পিএলও-র অংশ নয়, যা দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দল ফাতাহর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বর্তমানে ইসরায়েল সফরে আছেন, যেখানে তিনি গাজায় অস্ত্রবিরতি রক্ষায় একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী গঠনের কথা বলছেন। তিনি বলেন, ‘অনেক দেশই এতে অংশ নিতে আগ্রহী। তবে ইসরায়েলের সম্মতিতেই এই বাহিনী গঠিত হবে।’
রুবিও আরও জানান, তুরস্ককে এই বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করতে ইসরায়েল অনিচ্ছুক। যদিও তুরস্কই প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ যারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।
হামাস শুক্রবার জানায়, তারা মধ্যস্থতাকারী মিসর, কাতার ও তুরস্কের কাছ থেকে যুদ্ধ কার্যত শেষ হয়েছে এমন স্পষ্ট নিশ্চয়তা পেয়েছে। দলটি ইসরায়েলের ওপর আরও মানবিক সহায়তা প্রবেশের চাপ বাড়ানোর আহ্বান জানায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) জানায়, গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের পরিস্থিতিতে কোনো উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়নি এবং ক্ষুধার হারও কমেনি। সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘অবস্থা এখনও ভয়াবহ। যে পরিমাণ ত্রাণ প্রবেশ করছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।’