Saturday 25 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেশনজট নিরসনের দাবি
আমরণ অনশনে মাভাবিপ্রবি ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৫ অক্টোবর ২০২৫ ২০:০২ | আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০২৫ ২১:০৫

অনশনরত শিক্ষার্থীরা। ছবি: সারাবাংলা

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইল মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থীরা সেশনজট নিরসনে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সেমিস্টারের মেয়াদকাল সর্বসাকুল্যে চার মাস করার দাবিতে আমরণ অনশন করছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকাল ৪টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেছেন ভেটেরিনারি মেডিসিন এন্ড এ্যানিমেল সায়েন্স অনুষদের শিক্ষার্থীরা

এর আগে শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। এ সময় তারা বিভিন্ন প্লেকার্ডে ‘মোদের দাবি একটাই, চার মাসে সেমিস্টার চাই’, ‘ডিগ্রি নিতে দশ বছর চাকরি নেব কোন বছর’, ‘এক দফা এক দাবি, চার মাসে সেমিস্টার দিবি’, ‘সেশনজটে পুড়ছে প্রাণ এবার চাই সমাধান’ ইত্যাদি স্লোগান তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

পরবর্তীতে দুপুর ১টায় ভাইস-চ্যান্সেলরের সঙ্গে মিটিং শেষে ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মললল নাঈম মিয়া বলেন, ভেটেরিনারি অনুষদের সেশনজট নিরসনে সেমিস্টার সময়কাল চার মাস করার জন্য গত ১২ অক্টোবর আমরা ভিসি স্যার বরাবর স্মারকলিপি জমা দিই। পরবর্তীতে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে আমরা জানাই, ২৪ তারিখের মধ্যে আমাদের দাবি না মানা হলে ২৫ তারিখ থেকে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা আজকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করছি। দুপুরের পর ভিসি স্যারের সঙ্গে মিটিংয়ে আমাদের দাবি না মানায় আমরা আমরণ অনশন কর্মসূচিতে বসেছি।’

শিক্ষার্থীদের অনশন ও তাদের দাবি সম্পর্কে ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, ‘আমরা তাদের দাবির প্রতি যথেষ্ঠ নমনীয়। আমরা প্রায় দুই ঘন্টা তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সবকিছু তাদের বুঝিয়ে দিয়েছি। আমরা ভাবতে পারিনি তারা অনশনে বসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে আমাদের কাজ করতে হয়। আমরা বিষয়টি আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি।’

উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সেশনজট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সময়সীমা বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা।

সারাবাংলা/জিজি
বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর