যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিবিয়ান সাগরে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছে। এই সামরিক উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘বানোয়াট যুদ্ধাবস্থা তৈরির’ অভিযোগ এনেছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য বলা হয়।
এর আগে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ ভূমধ্যসাগরে থাকা জেরাল্ড আর ফোর্ড রণতরীকে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দেন। এই রণতরীটি ৯০টি পর্যন্ত যুদ্ধবিমান বহন করতে সক্ষম।
প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা একটি নতুন চিরস্থায়ী যুদ্ধের বাহানা তৈরি করছে। তারা আর কখনো যুদ্ধে জড়াবে না অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু তারা এখন বানোয়াট যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করছে।’
রণতরী বা যুদ্ধজাহাজ, পারমাণবিক সাবমেরিন ও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান পাঠানোর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। দেশটি বলছে, তাদের অভিযানের লক্ষ্য মাদক পাচারকারীরা। পাচারকারীদের লক্ষ্য করে বিমান হামলার কথাও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হেগসেথ বলেছেন, ক্যারিবিয়ান সাগরে শুক্রবার হামলায় ছয় জন মাদক-সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। তিনি বলেছেন, যেই জাহাজে হামলা করা হয়েছে সেটি ত্রেন দে আরাগুয়া নামের একটি অপরাধমূলক সংগঠনের।
ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, তারা মাদক পাচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করছে। যদিও বিশেষজ্ঞ ও কংগ্রেসের কিছু সদস্য অভিযোগ করেছেন যে এই অভিযান মূলত মাদুরোর সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য করা হচ্ছে।
মাদুরো দীর্ঘদিন ধরে ট্রাম্পের শত্রু এবং তাকে মাদক পাচারকারী সংগঠনের নেতা হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন ট্রাম্প। মাদুরো তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।