Saturday 25 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‌‌‘আমি এখনও শেষ হয়ে যাইনি’— প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রসঙ্গে কমলা হ্যারিস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ অক্টোবর ২০২৫ ০০:৫০ | আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ০০:৫১

সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। ছবি: সংগৃহীত

আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কমলা হ্যারিস। গত বছর রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচন করে হেরে যান তিনি।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে যুক্তরাজ্যে দেওয়া তার প্রথম সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, তিনি ‘সম্ভবত’ একদিন প্রেসিডেন্ট হবেন এবং ভবিষ্যতে নারীরা নিশ্চয়ই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হবেন—এ ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। কমলা আরও বলেন, ‘আমি এখনো শেষ হয়ে যাইনি।’ হ্যারিস আরও বলেন, তার নাতনি ও দৌহিত্রীরা তাদের জীবদ্দশায় অবশ্যই তাকে একজন নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখবে।

বিজ্ঞাপন

২০২৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। হ্যারিস দৃঢ় ইঙ্গিত দিলেও জনমত জরিপ বলছে ওই নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

‘সানডে উইথ লোরা কুইন্সবার্গ’ অনুষ্ঠানে কথা বলার সময়, হ্যারিস ট্রাম্পকে ‘স্বৈরশাসক’ আখ্যা দিয়ে বলেন, নির্বাচনি প্রচারণার সময় তিনি ট্রাম্প সম্পর্কে যে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন—তা প্রমাণিত হয়েছে।

হ্যারিস আরও বলেন—তিনি নির্বাচনি প্রচারণায় ট্রাম্পের ব্যাপারে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন—যে ট্রাম্প ফ্যাসিবাদী আচরণ করবেন এবং কর্তৃত্ববাদী সরকার চালাবেন—তা সত্যি হয়েছে। ‘তিনি বলেছিলেন তিনি বিচার বিভাগকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করবেন—আর তিনি ঠিক সেটাই করেছেন।’

এদিকে হোয়াইট হাউস হ্যারিসের এ মন্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেন—আমেরিকান জনগণ তার অবাস্তব মিথ্যাচার নিয়ে মাথা ঘামায় না। নির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে হেরে এখন তিনি বিদেশি সংবাদমাধ্যমে বসে অভিযোগ করছেন।’

আগামী নির্বাচনে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতার ব্যাপারে প্রশ্ন করলে বিবিসিকে কমলা বলেন, ‘আমি এ নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। কিন্তু রাজনীতিতে আমার এখনো ভবিষ্যত শেষ হয়ে যায়নি। আমি শেষ হয়ে যাইনি। সারাজীবন আমি সেবার জীবন বেছে নিয়েছি—এটা আমার রক্তে।’

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে গত বছর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। তবে অনেকটা শেষ মুহূর্তে গিয়ে দলের চাপে পড়ে তাকে সরে যেতে হয়। এরপর প্রতিদ্বন্দ্বি বানানো হয় কমলাকে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অনেকে মনে করেন, বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে যেতে দেরি করায় তাদের প্রার্থী প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হতে পারেনি।

তবে কমালা হ্যারিসও খুব ভালো নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারতেন কি না এবং ভোটারদের কাছে এক নম্বর ইস্যু অর্থনীতি নিয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে পারতেন কি না সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

যদি বাইডেন আগেই সরে দাঁড়াতেন—তাহলে আজ কি তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন বিবিসির এমন প্রশ্নের জবাবে হ্যারিস গভীর বিশ্লেষণে না গিয়ে বলেন—শুরু করতে দেরিটাই সবচেয়ে বড় বাধা ছিল—এত কম সময়ে জেতা প্রায় অসম্ভব ছিল। তবে, অনেক ডেমোক্র্যাট মনে করেন—হ্যারিসের দুর্বল নেতৃত্বই তার পরাজয়ের প্রধান কারণ—শুধু বাইডেনের দেরি নয়।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর