ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মালামালসহ ওয়ারহাউজ পুড়ে যাওয়া বিকল্প ওয়ারহাউজের জন্য স্থান বরাদ্দ চেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এক্সপ্রেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএইএবি)। ন্যূনতম ৫০ হাজার বর্গফুট পরিমাণ আয়তনের ওয়্যারহাউজ বা সমপরিমাণ আয়তনের উন্মুক্ত স্থান বরাদ্দ চেয়েছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও জাতীয় রজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে স্থান বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন আইএইএবি এর সভাপতি কবির আহমেদ। রোববার (২৬ অক্টোবর) এনবিআর সূত্রে সারাবাংলার এই প্রতিবেদক তথ্যটি জানতে পেরেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এদিন রাতে আইএইএবি’র সভাপতি কবির আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা এখনো স্থান বরাদ্দ পাইনি। বেবিচক একটি উন্মুক্ত স্থান নির্ধারণ করেছে। তবে যেভাবে কাজ চলছে, সেভাবে হবে না। আগে যেখানে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ২০০ শিপমেন্ট ডেলিভারি হতো, সেখানে এখন ১৫০ থেকে ৩০০ শিপমেন্ট ডেলিভারি দেওয়া যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো কার্গো ভিলেজে প্রবেশ করতে পারছি না। আমাদের এখনো পাস দেওয়া হয়নি। অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় অনেক কাজ হচ্ছে। আরও দ্রুত হওয়া উচিত।’
গেল ২২ অক্টোবর পাঠানো ওই চিঠিতে বলা হয়, গত ১৮ অক্টোবর বেলা সোয়া ২টার দিকে সংঘটিত স্মরণকালের ভয়াবহতম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিমানন্দরের কার্গো ভিলেজ কমপ্লেক্স এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এক্সপ্রেস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএইএবি)-এর ওয়্যারহাউজ মজুদকৃত সকল মালামালসহ সম্পূর্ণরূপে ভষ্মীভূত হয়েছে। ওই অগ্নিকাণ্ডে আইএইএবি-এর ওয়্যারহাউজ সম্পূর্ণরূপে ভষ্মীভূত হওয়ায় আমাদের সকল সদস্য কমবেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং আমদানিপণ্য মজুদ করার জন্য উপযুক্ত স্থান বা ওয়্যারহাউজ না থাকায় আইএইএবি-এর কর্মকাণ্ড এবং আমাদের এক্সপ্রেস ব্যবসার সব কার্যক্রম বর্তমানে বন্ধ হয়ে আছে। এর ফলে আমাদের এক্সপ্রেস ইন্ডাস্ট্রি আজ চরম ক্ষতির সম্মুখীন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য অনতিবিলম্বে আইএইএবি সদস্যদের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত স্থান বরাদ্দ দেওয়ার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, যাতে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে আমাদের এক্সপ্রেস সার্ভিস প্রোভাইডাররা তাদের কার্যক্রম ফের শুরু করতে পারেন।
ফলে আইএইএবি সদস্যদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ফের শুরুর জন্য অনতিবিলম্বে হশাআবি কার্গো কমপ্লেক্স এলাকায় অন্যূন ৫০ হাজার বর্গফুট পরিমাণ আয়তনের ওয়্যারহাউজ কিংবা সমপরিমাণ আয়তনের উন্মুক্ত স্থান বরাদ্দ দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।
উল্লেখ্য, এয়ারলাইনগুলো যদি আমদানিপণ্য আনা করা শুরু করে এবং আমদানিপণ্য সংরক্ষণ করার মতো উপযুক্ত স্থান না থাকে, তবে এক্সপ্রেস সার্ভিস প্রোভাইডাররা তাদের আমদানি পণ্য নিতে পারবে না।