Monday 27 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কওমি-সুন্নি ভেদাভেদ ভুলে তারেক রহমানের সঙ্গে থাকুন: ইনকিলাব সম্পাদক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৬:৫৩ | আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৪০

এ এম এম বাহাউদ্দীন।

চট্টগ্রাম ব্যুরো: কওমি-সুন্নি ভেদাভেদ ভুলে আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখদের তারেক রহমানের পেছনে দাঁড়াতে বলেছেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার আওতাধীন সাবেক জমিয়াত নেতৃবৃন্দ ও পীর মাশায়েখদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। নগরীর স্টেশন রোডে এক অডিটোরিয়ামে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন চট্টগ্রাম অঞ্চল সমন্বয়ক কমিটি এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে আলেম-ওলামা, পীর মাশায়েখদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সবাইকে তারেক রহমানের পেছনে দাঁড়াতে হবে। সামনে ইঞ্জিন ঠিক থাকলে ট্রেন ঠিকমতে চলবে। রাজনীতিবিদরা দরবার, খানকা ও পীর মাশায়েখদের শক্তিটা দেখতে পান না। এক একটি দরবারের হাজার হাজার ভক্ত রয়েছেন। সেই আধ্যত্মিক শক্তি ভোটের মাঠে দেখা যাবে।’

বিজ্ঞাপন

জামায়াতের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘এদেশের নব্বই ভাগ মানুষ হানাফি মাজহাবে বিশ্বাসি। কিন্তু এই মাজহাব ধ্বংস করতে গত ১৪ মাসে যা করা হয়েছে, তা বিগত ১৬ বছরেও হয়নি। তারা ক্ষমতায় গেলে দরবার, খানকা থাকবে না। তারা সারাদেশে মসজিদ কমিটি, বাজার কমিটি, দরবার কমিটিও দখল করেছে। আকিদাবিরোধী বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে। তারা মুসলমানদের আকিদা বিনাশ করছে। মাজারে আগুন দেওয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা সালাফি ভিত্তিক সমাজ গঠনের বার্তা দিয়েছে। তারা এককেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা চেয়েছে। তারা মাদরাসা শিক্ষা চায় না, আরবি বিশ্ববিদ্যালয় চায় না।’

‘তারা এখন রোজা-পূজা এক করে দেখছে। যখন যেখানে সুবিধা, তারা মাজারে গিয়ে জেয়ারত করছে, পুজায় গিয়ে মন্ত্রপাঠ করছে। আল্লাহর আইন আর সৎ লোকের শাসনের কথা বলে তাদের সেক্রেটারি জেনারেল এখন হিন্দুদের নিয়ে সমাবেশ করছেন।’

ইনকিলাব সম্পাদক আরও বলেন, ‘এদেশে পীর মাশায়েখদের হাত ধরে ইসলাম এসেছে। আলেম ওলামাদের এই শক্তিকে কেউ মোকাবিলা করতে পারবে না।’

ক্ষমা চাওয়া নিয়ে জামায়াত আমীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় বসে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চাওয়া, এটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত (পলিটিক্যাল এপোলজি)। সেখানে বসে আবার তারা ভারতের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন। তাদের বাংলাদেশে সালাফি ভিত্তিক সমাজ কায়েম করতে দেয়া হবে না। এ জন্য আগামী নির্বাচনে কওমি-সুন্নি ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়ার সাবেক অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ অছিয়র রহমান আলকাদেরীর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব শাব্বীর আহমদ মোমতাজী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয়ক ছৈয়দ মাওলানা আবু ছালেহ, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মদ এজহারুল হক ও মোবাশ্বেরুল হক, আমানত শাহ দরগাহ শরীফের পীর হাবিব উল্ল্যাহ খান, পীরে কামেল সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুম কামাল।

সারাবাংলা/আরডি/ইআ