Tuesday 28 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বায়ুদূষণে বিশ্বে আজ ঢাকা চতুর্থ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৮ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৪৬ | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ০৮:৪৭

ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরগুলোর তালিকায় আবারও জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এতে ঢাকা আজ চতুর্থ শহর হিসেবে অবস্থান করছে।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে আন্তর্জাতিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ার (IQAir)-এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বায়ু মান সূচক (AQI) দাঁড়িয়েছে ১৫৯, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণিতে পড়ে।

তালিকায় শীর্ষে আছে পাকিস্তানের লাহোর (AQI 311), এরপর ভারতের দিল্লি (AQI 222), ও কলকাতা (AQI 198)। ঢাকার ঠিক নিচে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি (AQI 159)।

বায়ুমান সূচক (AQI) ০ থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো বা ‘পরিষ্কার’ হিসেবে ধরা হয়। ১০১ থেকে ২০০ পর্যন্ত মান সাধারণত ‘অস্বাস্থ্যকর’, এবং ২০০ এর ওপরে গেলে তা ‘খুবই ক্ষতিকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ঢাকার বর্তমান সূচক অনুযায়ী, শহরের বাতাস এখন এমন পর্যায়ে রয়েছে যা শিশু, বৃদ্ধ, এবং শ্বাসকষ্ট বা হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অবস্থায় দীর্ঘ সময় বাইরে থাকা মানে প্রতিনিয়ত ক্ষুদ্র ধূলিকণা (PM2.5 ও PM10) ফুসফুসে প্রবেশ করছে, যা ধীরে ধীরে শ্বাসতন্ত্রকে দুর্বল করে ফেলে।

কেন এমন দূষণ

বিশেষজ্ঞরা ঢাকার দূষণের জন্য কয়েকটি বড় কারণ চিহ্নিত করেছেন—

ইটভাটা ও নির্মাণকাজের ধুলো : শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের ইটভাটাগুলো কার্যক্রম শুরু করে, ধুলোবালির পরিমাণ হঠাৎ বেড়ে যায়।

অতিরিক্ত যানবাহন : পুরোনো ডিজেলচালিত বাস ও ট্রাক এখনো শহরে চলছে, যা নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইডসহ নানা ক্ষতিকর গ্যাস ছড়াচ্ছে।

আবর্জনা পোড়ানো ও শিল্প ধোঁয়া : শহরের প্রান্তিক এলাকাগুলোতে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ বর্জ্য পোড়ানো হয়।

আবহাওয়ার প্রভাব : শুষ্ক মৌসুমে বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে ধুলো জমে থাকে এবং বাতাসে সহজে ছড়ায় না।

মানুষের স্বাস্থ্যে প্রভাব

জাতীয় পরিবেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (NIE) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকায় বায়ু দূষণের কারণে প্রতি বছর প্রায় এক লাখ ২০ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন শ্বাসতন্ত্র ও হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
WHO-এর তথ্যমতে, বাংলাদেশের নাগরিকদের গড় আয়ু দূষণের কারণে প্রায় ছয় বছর কমছে।

সমাধান

সরকারের ‘ব্লু স্কাই প্রজেক্ট’ ও ‘ক্লিন এয়ার ইনিশিয়েটিভ’ নামে দুটি প্রকল্প চালু থাকলেও তা এখনো দৃশ্যমান ফল দিতে পারেনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই সংকট মোকাবিলা অসম্ভব।

-ইটভাটা আধুনিকায়ন ও বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার
-পুরোনো যানবাহন প্রত্যাহার ও ইলেকট্রিক গাড়ি চালু
-শহরের খোলা বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ
-নির্মাণসাইটে ধুলা নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারি

এসব ব্যবস্থা দ্রুত না নিলে ঢাকার বায়ু আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে বলে সতর্ক করছেন পরিবেশবিদরা।

সারাবাংলা/এফএন/এসডব্লিউ
বিজ্ঞাপন

চাকরি দিচ্ছে সিঙ্গার
২৮ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর