ঢাকা: দেশে পুঁজিবাজারে টানা পতনে এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। কোনভাবেই হতাশার এই প্রবণতা থেকে বের হতে পারছেন না বিনিয়োগকারীরা। এর মধ্যেই গত তিন কার্যদিবসে উভয় পুঁজিবাজারেই সূচক কমেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্রোকারেজ হাউসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আগামী বছরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে ৫০ লাখ টাকার ওপর বিনিয়োগকারীদের নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিদ্ধান্ত এবং শরীয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর একীভূতকরণ বা মার্জার নিয়ে এক ধরনের নেতিবাচক ধারনা বিনিয়োগকারীদের মনে ঢুকেছে। এটিই বর্তমানে বাজারে বেশি প্রভাব ফেলছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৪ পয়েন্টে। যা সোমবার ৪০ পয়েন্ট ও রবিবার ২৩ পয়েন্ট কমেছিল।
মঙ্গলবার ডিএসই-তে ৪৫১ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর পরিমাণ আগের কার্যদিবসে ছিল ৩৯৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ৫৭ কোটি ১৮ লাখ টাকার বা ১৫ শতাংশ। তবে এই লেনদেন বৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের মনে কোন আশা জাগাতে পারেনি। উল্টো আস্থার চিড় ধরা আরও বাড়িয়েছে।
আজ ডিএসই-তে লেনদেন হওয়া ৩৯৯টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৩৪টির বা ৩৩.৫৮ শতাংশের। আর দর কমেছে ১৯৯টির বা ৪৯.৮৭ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৬৬টির বা ১৬.৫৪ শতাংশের।
অপরদিকে সিএসই-তে মঙ্গলবার ৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই-তে লেনদেন হওয়া ১৮৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ৫৮ টির, কমেছে ১০৪টির এবং পরিবর্তন হয়নি ২৫টির। এদিন সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৭৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪২৫০ পয়েন্টে।
আগের দিন সিএসই-তে ১৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছিল। আর সূচক সিএএসপিআই ৬৮ পয়েন্ট কমেছিল।