রংপুর: ঘুমন্ত মাকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর মরদেহ ঘরের মাটির নিচে পুঁতে রাখার দায়ে ছেলে জামিল মিয়া (২২)-কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এ রায় ঘোষণা করেন, সঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেন তিনি। রায় ঘোষণার সময় আসামি জামিল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি কাউনিয়া উপজেলার ছিট নাজিরদহ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
সরকারি কৌঁসুলি আফতাব উদ্দিন জানান, স্ত্রী ও মায়ের কলহের জেরে ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট রাতে জামিল ঘুমন্ত মা জামিলা বেগমকে হত্যা করেন। পরদিন সকাল থেকে মায়ের সন্ধান না পেয়ে ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় এলাকাবাসী ঘরের মেঝে উঁচু দেখে জামিলকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। জামিলার ভাই শামসুল হক বাদী হয়ে কাউনিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘ছেলের হাতে মায়ের হত্যা সামাজিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত উদাহরণ। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট।’
আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শামীম আল মামুন জানান, উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
রংপুর জেলা পুলিশের কোর্ট ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দ্রুত রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।’