Tuesday 28 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট হলে সমস্যা নেই: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:৩৯ | আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ২০:১৫

এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

ঢাকা: জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন করা গেলে তাতে কোনো সমস্যা নেই বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

তিনি বলেন, ‘অথর্ব নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য হলেও আগে একটি গণভোট করা যেতেই পারে। এই সুযোগটা কাজে লাগানো যেতে পারে।’

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীতে ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন রূপরেখা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী আরও বলেন, ‘এই গণভোট নিয়ে বিএনপি ও জামায়াত যুদ্ধ করছে। জামায়াত পিআর নাম নিয়ে সংস্কারের কথা বলছে, কিন্তু তাদের আমি বলতে চাই—আপনারা আগে সংস্কার কী সেটা শিখে আসুন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গণভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যাশা ও নতুন সংস্কার প্রক্রিয়া যাচাই করা গেলে পরবর্তী নির্বাচন হবে আরও স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য।’

সরকারের উদ্দেশ্যে এনসিপির মুখপাত্র বলেন, ‘আগে গণভোট দিন জনগণ নিজের ভবিষ্যৎ নিজেরাই নির্ধারণ করুক। ৩০০ আসনে আজও গডফাদারদের রাজনীতি চলছে, সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারে না। গণভোটের মধ্য দিয়েই জনগণের আসল মতামত জানা যাবে।’

ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্ট দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে তিনি দাবি করেন, এই রিপোর্টের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক কাঠামো’ গড়ে তোলার পথ উন্মুক্ত হয়েছে।

তিনি মনে করে, আইন মন্ত্রণালয় ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এখনই সংস্কার বাস্তবায়নের সময়।

‘ড. ইউনূস শহিদ মিনারে গিয়ে জনগণের সামনে জুলাই সনদে সই করবেন, এটাই জনগণের দাবি,’ বলেন তিনি।

বিএনপি ও জামায়াতকে ‘লাউ-কদু জোট’ আখ্যা দিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘তারা একদিকে ভারত মুখী, অন্যদিকে পাকিস্তান মুখী। আমরা চাই ঢাকাকেন্দ্রিক নতুন বাংলাদেশ।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘যারা ৫ আগস্টের গণআন্দোলনের সময় জনগণের পাশে না থেকে ক্যান্টনমেন্টে গিয়েছিলেন, তাদের ইতিহাসে দায় নিতে হবে।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘সংস্কার প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন না হলে দেশে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। আপনারা লন্ডন, ওয়াশিংটন বা বেইজিং দৌঁড়াবেন না। ঢাকাই হবে দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্র।’

তিনি শহিদ পরিবার, আহত যোদ্ধা, শিক্ষক, শ্রমিক ও সাধারণ সৈনিকদের সম্মানজনক জীবন যাপনের নিশ্চয়তা দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এরা রাষ্ট্রের মেরুদণ্ড, তাদের দাবি পূরণ করতে হবে।’

এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, তারা কোনো গোপন দরজা বা বিদেশি দূতাবাসনির্ভর রাজনীতি করবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের মধ্যেই থাকব, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াতেই এগোবো। জনগণই আমাদের সরকারে বসাবে।’

এ সময় আরও বক্তব্য দেন যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম সম্পাদক জাবেদ রাশীম, ইনকিলাব মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী শিশির মনির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রচার সম্পাদক শেখ মজলুল করীম মারুফ, খেলাফত মজলিস নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ, নারী রাজনৈতিক অধীকার ফোরাম তাপসী রাবেয়া, শহিদ মুগ্ধোর ভাই মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।

সারাবাংলা/এফএন/এইচআই