ঢাকা: পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার এত খারাপ অবস্থা ও এত পচন ধরেছে যে, মৌলিক জায়গায় আগে ঠিকঠাক না করলে কেবল কয়েকজন বিশেষজ্ঞ দিয়ে শিক্ষা কমিশন করে কোনো লাভ হবে না এবং সমস্যার সমাধান হবে না
বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে তরুণদের নিয়ে আয়োজিত ‘ইউথ পারসপেকটিভস অন স্যোশাল প্রগ্রেস: গ্রাসরুটস, নেটওয়ার্কস অ্যান্ড লিডারশিপ ভয়েসেস’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বেসরকারি সংস্থা ‘পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার’ (পিপিআরসি) এ সম্মেলনের আয়োজন করে।
ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্ব নেয়, তখন ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় অভিভাবকবিহীন ছিল। শিক্ষা কমিশন এগুলো ঠিক করতে পারত না। কয়েকজন মানুষকে ওপরে বসিয়ে শিক্ষা ভালো করতে বলাটা তাদের জন্যও বিব্রতকর হতো। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে তিনটি শিক্ষা কমিশন হয়েছে এবং ওই রিপোর্টগুলোতেও অনেক ভালো সুপারিশ আছে। সেগুলো না মেনে নতুন কমিশন কেন- এমন প্রশ্ন তোলেন তিনি।
তিনি বলেন, বর্তমানে তরুণদের মধ্যে একধরনের মানসিক অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। জুলাই আন্দোলনে নৃশংস দৃশ্য ও স্বজনদের মৃত্যু এর জন্য অনেকটা দায়ী হতে পারে। অস্থিরতার একটি নেতিবাচক দিক হলো- দাবি আদায়ের জন্য মহাসড়ক অবরোধ, যা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য একটি খারাপ দিক। তবে ইতিবাচক দিকও রয়েছে, আগের আন্দোলনগুলোর সময়কার গাড়ি ভাঙচুরের সংস্কৃতি বিদায় নিয়েছে। তবে অবরোধ থেকে গেছে।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন, তারা দেশের জন্য কিছু করতে চাইছেন। তবে ঠিক কীভাবে করবেন- তা বুঝে উঠতে পারছে না। সে ক্ষেত্রে প্রবীণদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যায় এখন বয়সের দিক থেকে তরুণদের সংখ্যা অনেক বেশি, যা একধরনের ‘ইয়ুথ পাওয়ার’ বা ‘পপুলেশন’ সৃষ্টি করেছে। এ সুযোগ ১৫ বছর ধরে শুরু হয়েছে এবং আগামী আরও ১৫ বছর থেকে ২ দশকের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এই সময়ের মধ্যে তরুণদের নিজেদের গড়ে তোলার পাশাপাশি বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে হবে।