Wednesday 29 Oct 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নির্বাচন বানচালে যত ঝড়ঝাপ্টা আসুক না কেন, সেটা অতিক্রম করতে হবে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:৫৪ | আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ১৮:২৯

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচন বানচালের জন্য দেশের ভেতর ও বাহির থেকে অনেক শক্তি কাজ করবে। ছোটখাটো নয় বড় শক্তি নিয়ে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হবে। হঠাৎ করে আক্রমণ চলে আসতে পারে, এই নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং হবে। তবে, যত ঝড়ঝাপ্টা আসুক না কেন, আমাদের সেটা অতিক্রম করতে হবে।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার বরাত দিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন— সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার আসবে। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দেশের ভেতর থেকে, বাইরে থেকে খুবই পরিকল্পিতভাবে নানা রকম অপপ্রচার চালানো হবে। এআই ছবি-ভিডিও তৈরি করে ছেড়ে দেওয়া হবে। এটাকে সামাল দিতেই হবে। একটা অপপ্রচারের রচনা হওয়া মাত্র সেটা ঠেকাতে হবে, যেন ছড়াতে না পারে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী নির্বাচন সুন্দর ও উৎসবমুখর করতে হলে মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। নির্বাচনী নীতিমালা, ভোটকেন্দ্রের নিয়ম, কীভাবে ভোট প্রদান করতে হবে, কোথাও বিশৃঙ্খলা হলে কী করতে হবে— এসব বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি সংখ্যক টিভিসি, ডকুমেন্টারি বা ভিডিও তৈরি করা এবং তা যেন খুব দ্রুত ইউটিউবে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সবাই যেন এটা দেখে নিজেরাই অনেক ক্ষেত্রে প্রস্তুত হতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রেস সচিব।

এর আগে, আজ বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নির্বাচন প্রস্তুতি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হতে পারে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আগামী ১ নভেম্বর থেকে নির্বাচনকালীন পদায়ন শুরু হবে। তবে এবারের নির্বাচনে গত তিন নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের রাখা হবে না।

সারাবাংলা/জিএস/ইআ