দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে চলমান শীর্ষ সম্মেলনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, যা বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতি ও প্রতিদ্বন্দ্বী পরাশক্তির মধ্যে অস্থিতিশীল সম্পর্ক পুনর্গঠনের সুযোগ এনে দিতে পারে। চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকটি তিন থেকে চার ঘণ্টার হতে পারে বলে আশা করছেন ট্রাম্প।
বৈঠকের আনুষ্ঠানিক আলোচনায় যাওয়ার আগমুহূর্তেই দুই নেতার মধ্যে হয়েছে সৌজন্যমূলক আলাপ, কূটনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন।
ট্রাম্পের সঙ্গে হাত মেলানোর সময় শি বলেন, ‘আপনাকে আবার দেখে খুবই ভালো লাগছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আপনার পুনর্নির্বাচনের পর আমরা ফোনে তিনবার কথা বলেছি, একে অপরকে বেশ কয়েকটি চিঠি পাঠিয়েছি এবং সবসময় ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখেছি।’

দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শি জিনপিং।
চীনা প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের দুই দেশের ভিন্ন জাতীয় বাস্তবতা রয়েছে। ফলে সব বিষয়ে একই দৃষ্টিভঙ্গি থাকার কথা নয়। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে মাঝে মাঝে বৈরিতা হওয়াটাও স্বাভাবিক।’
যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্য আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে শি জানান, ‘আমাদের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য দল একে অপরের প্রধান উদ্বেগগুলো সমাধানে প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে এবং অগ্রগতি হয়েছে বলে উৎসাহজনক সংকেত মিলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ভিত্তি আরও মজবুত করতে এবং দুই দেশের উন্নয়নের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে আমি তোমার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।’
অন্যদিকে হাতে হাত মিলিয়ে ছবি তোলার সময় শি’র উদ্দেশে ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ‘আমাদের বৈঠক অত্যন্ত সফল হবে।’
এ ছাড়া বাণিজ্যচুক্তি ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ট্রাম্পের সংক্ষিপ্ত উত্তর ছিল ‘এটি হতে পারে।’