ঢাকা: সুগন্ধি চাল রফতানির নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার প্রায় এক মাস পর দুই দফায় মোট ৬৩টি প্রতিষ্ঠানের রফতানি সময়সীমা বাড়িয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) জারি করা পরিপত্রে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এবং আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) জারি করা পরিপত্রে আরও ১৩টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সুগন্ধি চাল রফতানির সময়সীমা আগামী ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো নির্ধারিত পরিমাণ (১০০, ১৫০, ২০০, ৩০০, ৪০০ ও ৫০০ টন) সুগন্ধি চাল রফতানি করতে পারবে।
সময় বাড়ানোর পাশাপাশি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দিয়ে অবহিতও করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত: চলতি বছরের গত ৮ এপ্রিল এসব প্রতিষ্ঠানকে সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এবং রফতানি অনুমতির মেয়াদ ছিল গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এ সময় সক্ষমতা অনুযায়ী ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ১০০ থেকে ৫০০ টন করে মোট ১৮ হাজার ১৫০ টন সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে দ্বিতীয় দফায় ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে সক্ষমতা অনুযায়ী ১০০ থেকে ২০০ টন করে আরও মোট ৫ হাজার ৮০০ টন সুগন্ধি চাল রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়। এ অনুমতির মেয়াদ কার্যকর থাকবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।

চাল রফতানি – ছবি : প্রতীকী ও সংগৃহীত
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রফতানির সময়সীমা যাদের ছিল, তাদের অনেকেই রফতানি করতে না পেরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সময় বাড়ানোর আবেদন জানায়। আর এ সিদ্ধান্ত দিতে এক মাস সময় নেয় মন্ত্রণালয়। তবে সময়সীমা বাড়ানো ছাড়া রফতানির অন্যান্য শর্তগুলো অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
শর্ত অনুযায়ী, প্রতি কেজি চালের রফতনি মূল্য হতে হবে কমপক্ষে ১ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে হিসাব করলে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ১৯৫ টাকা।
জানা যায়, দেশে রফতানিযোগ্য সুগন্ধি চালের একটি তালিকা রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। চালগুলো হচ্ছে- কালিজিরা, কালিজিরা টিপিএল-৬২, চিনিগুঁড়া, চিনি আতপ, চিনি কানাই, বাদশাভোগ, কাটারিভোগ, মদনভোগ, রাঁধুনিপাগল, বাঁশফুল, জটাবাঁশফুল, বিন্নাফুল, তুলসীমালা, তুলসী আতপ, তুলসী মণি, মধুমালা, খোরমা, সাককুর খোরমা, নুনিয়া, পশুশাইল, দুলাভোগ ইত্যাদি।