ঢাকা: দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে আঞ্চলিক নীতি সমন্বয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন পাকিস্তান সফররত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী।
তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নে আঞ্চলিক নীতি সমন্বয় ও গবেষণা নির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণ অপরিহার্য। এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জ্ঞান উদ্ভাবন, নীতি কূটনীতি এবং সামাজিক আস্থা পুনর্গঠন।
এ সময় বাংলাদেশ–পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার একাডেমিক ও নীতি কূটনীতি প্ল্যাটফর্মও শক্তিশালী করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সায়েন্সেস (আইএএস)-এ আয়োজিত ‘আইএএস-সানপা ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স ২০২৫’-এ বক্তব্য প্রদানকালে আনিসুজ্জামান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহাসিক বন্ধন ও আঞ্চলিক মানবসম্পদের শক্তির কথা উল্লেখ করে আনিসুজ্জামান চৌধুরী বলেন, যেখানে রাজনৈতিক সীমা আমাদের আলাদা করে, জ্ঞান ও উন্নয়নের লক্ষ্য সেখানে আমাদের এক কাতারে দাঁড় করায়।
‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রযুক্তি সমন্বিত’- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রশাসন ও উন্নয়ন শুধু কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয় নয়; এটি মানবিক মূল্যবোধ, ন্যায়বোধ ও আধুনিক জ্ঞান ব্যবস্থার সমন্বয়।

– ছবি : সংগৃহীত
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ প্রশাসনবিদ, নীতিনির্ধারক ও গবেষকরা অংশ নিচ্ছেন। এবারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে- ‘লোকাল রিয়েলিটিজ অ্যান্ড রিজিওন্যাল ফিউচার্স: ট্রান্সফরমিং পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ইন সাউথ এশিয়া’। সম্মেলনে উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন ড. সিদরা ইরফান ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের আইএএস পরিচালক প্রফেসর ড. কাশিফ রাঠোর।
সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাকিস্তানের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিশেষ উদ্যোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রফেসর আহসান ইকবাল উন্নয়ন নীতি, প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগোলিক নৈকট্যকে কৌশলগত অংশীদারত্বে রূপান্তরের সময় এখনই।
সানপা’র প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আখলাকে হক তার বক্তৃতায় দক্ষিণ এশিয়ায় প্রশাসন চর্চার জ্ঞান বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।