ঢাকা: গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সরকারের সময়েও চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে না দেওয়াকে ‘হয়রানিমূলক ও অপমানজনক’ বলেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, “চিকিৎসার জন্য বিমানবন্দর থেকে বিদেশ যেতে না দেওয়া বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আচরণেরই পুনরাবৃত্তি। যা ফ্যাসিস্ট সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও করেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের কাছ থেকে এমন আচরণ একেবারেই অপ্রত্যাশিত। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এই ব্যবহারে আমি অপমানিত হয়েছি।”
মিলন জানান, আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাকে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককগামী ফ্লাইটে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে জানায়, তার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আদালতের আদেশ অমান্য করে আমাকে কেন আটকানো হলো?” এ বিষয়ে দ্রুত সুরাহা চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আবেদন জানান বিএনপির এই নেতা।
নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে মিলন বলেন, “আমার নামে কোনো চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র বা দুর্নীতির অভিযোগ নেই। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং চিকিৎসার প্রয়োজনে বিদেশ যাচ্ছিলাম মাত্র।”
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর নতুন সরকারের সময়েও কিছু আমলাতান্ত্রিক প্রভাব ও পূর্ববর্তী সরকারের ‘মানসিকতা’ প্রশাসনের ভেতরে টিকে আছে—যারই উদাহরণ এই ঘটনা।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের পর দেশ পরিচালনায় আসে অন্তর্বর্তী সরকার। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় নাগরিক স্বাধীনতা ও প্রশাসনিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
 
                                     
                         
                         
                        