সুনামগঞ্জ: জেলার ধোপাজান–চলতী নদীতে ড্রেজার ও বোমা মেশিন ব্যবহার করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লিমপিড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্বম্ভরপুর আমল গ্রহণকারী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার দক্ষিণ আরপিননগরের বাসিন্দা মো. গোলাম হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী মো. নাজমুল হুদা।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, লিমপিড ইঞ্জিনিয়ারিং ভিটবালু উত্তোলনের অনুমতি নিয়ে নির্ধারিত এলাকার বাইরে গিয়ে নদীপাড় কেটে সিলিকা বালু উত্তোলন ও বিক্রি করছে। এতে নদীর তীরবর্তী ফসলি জমি ও বসতভিটা বিলীন হচ্ছে। বাদীর তিন বিঘা জমিও নদীগর্ভে চলে গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
বাদী গোলাম হোসেন বলেন, “গত ২৭ অক্টোবর রাতে তারা আমার জমির পাশে ড্রেজার বসায়। বাঁধা দিতে গেলে প্রায় ৭০ জন লোক আমাকে হুমকি দেয়। এতে আমার জমি ভেঙে গেছে, তাই আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।”
আইনজীবী নাজমুল হুদা জানান, কোম্পানিটি প্রায় পাঁচ কোটি টাকার বালু উত্তোলন করেছে, যা অনুমতির সীমার বাইরে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে আদালতের নির্দেশে ধোপাজান কোয়ারি থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়। তবে ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে পুনরায় শুরু হয় অবৈধ উত্তোলন। ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বিআইডব্লিউটিএ এক কোটি টাকার রাজস্বের বিপরীতে ১ কোটি ২১ লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলনের অনুমতি দেয়, যার সুযোগে লিমপিড ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাপকভাবে বালু লুট করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীভাঙনে বসতবাড়ি, ফসলি জমি, মসজিদ ও কবরস্থান হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও নদী রক্ষায় প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।