যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার ওপর আরোপিত সিজার আইনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সমর্থন দিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে।
পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র জানান, ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্টের মাধ্যমে সিজার আইনের নিষেধাজ্ঞা বাতিলকে ট্রাম্প প্রশাসন সমর্থন করছে। এ আইন নিয়ে বর্তমানে মার্কিন কংগ্রেসে আলোচনা চলছে।
মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছে এবং সিরিয়ার জনগণের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে সহায়ক হবে এমন যেকোনো বিনিয়োগ বা সম্পৃক্ততাকে স্বাগত জানায়।’
এরই মধ্যে সৌদি আরবের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সিরিয়ায় কয়েক বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। দেশটির পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় রিয়াদের সহায়তা প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এবং সিরিয়ার বিচ্ছিন্ন প্রশাসনিক কাঠামো বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবে সবচেয়ে কঠোর নিষেধাজ্ঞা হিসেবে বিবেচিত সিজার আইন বাতিল করতে হলে কংগ্রেসের অনুমোদন প্রয়োজন। কংগ্রেস সদস্যদের মধ্যে এ বিষয়ে মতভেদ থাকলেও বছরের শেষ নাগাদ সিদ্ধান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে লক্ষ্য করে সিজার আইনটি কার্যকর করা হয়েছিল। গত বছর আসাদ সরকারের পতনের পরও এ নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।