Saturday 01 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এবার মহাকাশে সর্বকনিষ্ঠ নভোচারী ও ৪ ইঁদুর পাঠাল চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
১ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:২০ | আপডেট: ১ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:০৪

ছবি: সংগৃহীত

উত্তর-পশ্চিম চীনের জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে লং মার্চ-২এফ রকেটের মাধ্যমে চীনের শেনঝো-২১ মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হয়েছে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর)। এতে চীনের নভোচারী দলের সর্বকনিষ্ঠ সদস্যসহ পুরো ক্রুরা অংশ নিয়েছেন।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে ৩২ বছর বয়সী চীনা নভোচারী উ ফেই, দুজন সহকর্মী এবং চারটি গবেষণামূলক ইঁদুর টিয়াংগং স্পেস স্টেশনে পাঠানো হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শেনঝৌ-২১ মহাকাশযান উত্তর-পশ্চিম চীনের জিয়ুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে লং মার্চ-২এফ রকেটে উৎক্ষেপণ হওয়ার মাত্র তিন ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মধ্যে টিয়াংগং স্পেস স্টেশনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মিশনে তিনজন নভোচারী আছেন—কমান্ডার ঝাংলু, ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার উ ফেই এবং পে-লোড স্পেশালিস্ট ঝাং হংঝাং। তারা আগামী ছয় মাস টিয়াংগং-এ থাকবেন এবং বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ সম্পন্ন করবেন।

চীনের সর্বকনিষ্ঠ নভোচারী 

৩২ বছর বয়সী উ ফেই চীনের মহাকাশ অভিযানে অংশ নেওয়া সবচেয়ে কম বয়সী নভোচারী। উৎক্ষেপণের আগে তিনি জানান, দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে তিনি নিজেকে অসীম সৌভাগ্যবান মনে করছেন। মিশনের কমান্ডার ঝাং লু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে দলটি সম্পূর্ণ সফলভাবে আমাদের মাতৃভূমি এবং এর মানুষের কাছে তথ্য জানাবে।’

দলের সঙ্গে চারটি ল্যাবরেটরি ইঁদুর রয়েছে —দুটি পুরুষ ও দুটি নারী। এগুলো চীনের প্রথম মহাকাশে রডেন্ট পরীক্ষা। মাইক্রোগ্র্যাভিটির প্রভাব মানব ও প্রাণিজ জীবনে কীভাবে পড়ে তা বোঝার জন্য এই পরীক্ষাগুলো পরিচালিত হবে।

টিয়াংগং স্পেস স্টেশন প্রতি ছয় মাসে ঘূর্ণায়মান ক্রুর সঙ্গে পরিচালিত হয় এবং এটি চীনের বহু-বিলিয়ন ডলারের মহাকাশ প্রোগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর স্পেস ড্রিম বাস্তবায়নের লক্ষ্য অনুযায়ী, চীন ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে নভোচারী পাঠানোর এবং ভবিষ্যতে চাঁদের একটি লুনার বেস স্থাপনের পরিকল্পনা করছে।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে চীন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে —২০১৯ সালে চাঁদের দূরপাশে চাং-ই-৪ প্রোব অবতরণ এবং ২০২১ সালে মঙ্গলগ্রহে রোভার প্রেরণ।

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর